- ৫০টি পরিবার ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়েছে
- ফসলি জমি ও আমন খেতের ব্যাপক ক্ষতি
- স্থায়ী সমাধানের দাবিতে চরবাসীর ক্ষোভ
টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পানি বেড়ে যাওয়ায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীতে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে নদীপাড়ের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ভাঙনের তীব্রতায় একের পর এক বসতবাড়ি ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের উত্তর লালচামার গ্রামে অন্তত ২০টি বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের আশঙ্কায় ৫০টি পরিবার বসতবাড়ি সরিয়ে নিয়েছে এবং প্রায় ২০০টি বাড়িঘর ঝুঁকির মুখে পড়েছে। পানি বাড়তে থাকায় চরের যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, এখন নৌকা ছাড়া যাতায়াতের উপায় নেই।
প্রতিবছরের মতো এবারও পানি বাড়া-কমার সঙ্গে সঙ্গে তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চ-ীপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীতে ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নদী ড্রেজিং ও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ না করায় প্রতিবছরই শত শত বসতবাড়ি ও হাজার একর ফসলি জমি নদীতে হারিয়ে যাচ্ছে।
কাপাসিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়ায় কয়েকটি গ্রামে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। অন্তত ২০টি পরিবারের ঘরবাড়ি ও শতাধিক বিঘা জমির আমন খেত নদীতে গেছে।’
লালচামার গ্রামের কৃষক কছিম উদ্দিন বলেন, ‘প্রতি মৌসুমে ৩-৪ বার ঘরবাড়ি সরাতে হয়। এখনো পর্যন্ত স্থায়ী কোনো ভাঙন রোধের ব্যবস্থা নেয়নি সরকার।’
ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. মনজু মিয়া জানান, ‘প্রতিবছর চাহিদা পাঠানো হলেও স্থায়ী বাঁধ বা খনন হয়নি। আপাতত জিও ব্যাগ ও টিউব ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাশিদুল কবির জানান, ভাঙনের কারণে শ্রীপুর, কাপাসিয়া, চ-ীপুর ও হরিপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চলে আমন খেতসহ ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে জিও ব্যাগ ও টিউব ফেলা হচ্ছে। স্থায়ী সমাধান সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন