শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২৫, ১১:১১ পিএম

শহিদ জেহাদ  দিবস আজ

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২৫, ১১:১১ পিএম

শহিদ জেহাদ  দিবস আজ

আজ শহিদ জেহাদ দিবস। ১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে রাজধানীর পল্টনে পুলিশের গুলিতে শহিদ হন নাজির উদ্দিন জেহাদ। দিবসটি উপলক্ষে বিএনপির পক্ষ থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়ে শহিদ জেহাদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। শহিদ জেহাদ স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে সকাল ১০টায় ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে  আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও শহিদ জেহাদ স্মৃতি পরিষদের সভাপতি আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আলোচনায় অংশ নেবেন ’৯০-এর গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের নেতারা। 

জেহাদ দিবস উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বাণীতে তারেক রহমান বলেছেন, ‘শহিদ নাজির উদ্দিন জেহাদ ’৯০-এর স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে একটি অবিস্মরণীয় নাম। রক্তমাখা ওই আন্দোলন ছিল বহুদলীয় গণতন্ত্র, মত প্রকাশ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে গিয়ে শহিদ জেহাদ পুলিশের বুলেট নিজের বুকে বরণ করে নেন। শাহাদাত বরণ করেন এই অকুতোভয় ছাত্রনেতা। তার রক্তস্রোতের ধারা বেয়েই সে বছর সংঘটিত হয় গণঅভ্যুত্থান, পতন হয় স্বৈরশাসক এরশাদের।

তিনি বলেন, ‘স্বৈরশাসক এরশাদ গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর দৃঢ় প্রত্যয় নিয়েই জেহাদ নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। আমরা তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে না পারলে তার আত্মা কষ্ট পাবে। ’

তারেক রহমান আরও বলেন, ‘গণতন্ত্রের ধারা বহমান রাখতে হলে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে। গণতন্ত্র মানে শুধু নির্বাচন নয়, গণতন্ত্র মানে মানুষের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা।’

আর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘শহিদ নাজির উদ্দিন জেহাদ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে এক চিরস্মরণীয় নাম। শহিদ জেহাদ নিজেকে উৎসর্গ করেছেন গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে। তার এই মহিমান্বিত আত্মদানের ফলেই স্বৈরশাহী এরশাদের পতন হয়। শুরু হয় সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা। নব্বইয়ে স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করে গণতন্ত্রের বিজয়ে তার অগ্রণী ভূমিকার জন্য জাতি হিসেবে আমরা গর্ববোধ করি।’

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার নবগ্রামে জন্ম জেহাদের। নব্বইয়ের আন্দোলনের সময় জেহাদ স্থানীয় সরকারি আকবর আলী কলেজে বিএ শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি ছাত্রদলের কলেজ শাখার সভাপতি ও উপজেলা শাখার সহসভাপতি নির্বাচিত হন। নব্বইয়ের ১০ অক্টোবর বিএনপিসহ সাতদলীয় জোট রাজধানীর পল্টনে মহাসমাবেশের ডাক দিলে ছাত্রনেতা জেহাদ নিজ এলাকা থেকে ৬০ জন ছাত্র নিয়ে যোগ দেন সমাবেশে। এই কর্মসূচিতে পুলিশ নির্বিচারে গুলি করলে জেহাদ গুলিবিদ্ধ হন। পরে মারা যান।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!