সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


কক্সবাজার ব্যুরো

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৫, ১২:১৬ এএম

কক্সবাজার সৈকত

সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

কক্সবাজার ব্যুরো

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৫, ১২:১৬ এএম

সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে  অর্ধশতাধিক অবৈধ  স্থাপনা উচ্ছেদ

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অর্ধশতাধিক দোকানপাট ও স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন।

গতকাল রোববার বেলা ১১টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত পরিচালিত এই অভিযানে নেতৃত্ব¡ দেয় জেলা প্রশাসন। অভিযানে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা পুলিশের সদস্যরা অংশ নেন। উচ্ছেদ কার্যক্রমে একটি এক্সকাভেটর ব্যবহার করা হয়।

এর আগে গত শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে এক জর”রি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে নতুন স্থাপনা ১১ অক্টোবর রাতের মধ্যে এবং পুরোনো স্থাপনা ১৬ অক্টোবরের মধ্যে সরানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আ. মান্নান বলেন, ‘বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সৈকতের পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় সংকটাপন্ন এলাকা থেকে সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুর” হয়েছে।’

অভিযানে অংশ নেওয়া ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) আপেল মাহমুদ বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের নির্দেশে অন্তত ৫০টি দোকানপাট ও স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। বেলা ২টার মধ্যে মালিকদের নিজ উদ্যোগে স্থাপনা সরিয়ে নিতে সময় দেওয়া হলেও তা না করায় প্রশাসন অভিযান চালিয়েছে।’

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) শাহিদুল আলম বলেন, ‘শনিবার রাতের মধ্যে স্থাপনা সরানোর নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা অমান্য করায় আজ (রোববার) উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।’

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত এক বছরে কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক, সুগন্ধা, কলাতলী, দরিয়ানগর, হিমছড়ি, সোনারপাড়া, ইনানী, পাটুয়ারটেক ও টেকনাফ সৈকতে শতাধিক দোকানপাট ও অস্থায়ী স্থাপনা গড়ে ওঠে। বিশেষ করে বিদায়ি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের বদলির পরপরই সুগন্ধা সৈকতে দ্র”তগতিতে টং ঘর ও দোকান বসানো হয়।

সরকার ১৯৯৯ সালে কক্সবাজারের নাজিরারটেক থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্রসৈকতকে ‘প্রতিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন এলাকা’ ঘোষণা করে। সংশ্লিষ্ট আইনে জোয়ার-ভাটার অঞ্চল থেকে ৩০০ মিটার পর্যন্ত এলাকায় যেকোনো স্থাপনা নির্মাণ ও উন্নয়ন নিষিদ্ধ।

এর আগে গত বছরের ডিসেম্বর এবং ২০২৩ সালেও একাধিকবার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছিল জেলা প্রশাসন। সৈকতের পরিবেশ রক্ষা ও পর্যটন এলাকাকে দখলমুক্ত রাখতে জেলা প্রশাসনের এই অভিযান চলমান থাকবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!