জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ছাড়া অন্য সব দলের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রতারণা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন। চার মাসের মধ্যে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট করার সক্ষমতা সরকারের আছে কি নাÑ এমন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেছেন, ‘১৪ মাসে সরকার তার ফিটনেস তৈরি করতে পারে নাই। হাতে সময় আছে মাত্র ৪ মাস। এই চার মাসে দুটো নির্বাচন করার মতো সক্ষমতা সরকারের আছে? সরকার বরং নভেম্বরে গণভোটের প্রসঙ্গ এনে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। যার মাধ্যমে শুধু আওয়ামী লীগই উপকৃত হবে।’ গতকাল বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া পোস্টে রাশেদ খাঁন এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশন যেহেতু নোট অব ডিসেন্ট বাদেই সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে, এক্ষেত্রে ৯ মাস রাষ্ট্রের অর্থ কেন অপচয় করা হলো? বরং ৮৪টি বিষয়ে ৯ মাস আগেই গণভোট নিতে পারত না? যাই হোক অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ঐকমত্য কমিশন জামায়াত এবং এনসিপি বাদে সব দলের সাথেই প্রতারণা করেছে। দেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে, আরেকটি ১/১১ অনিবার্য করা হচ্ছে!’ রাশেদ খাঁন বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন ও জুলাই সনদের পক্ষে একই দিনে ভোটÑ হ্যাঁ। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটÑ না।’ রাশেদ বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে দলগুলোর সামনে প্রস্তাবনা হাজির করে যে, এক্সপার্টরা একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের পক্ষে মতামত দিয়েছে। তখন শুধু জামায়াত বাদে সব দল একমত হয়। এমনকি এনসিপিও এটার পক্ষে অবস্থান নেয়। কিন্তু, পরের দিন এনসিপি তার অবস্থান পরিবর্তন করে। আমি সে সময় কী বক্তব্য দিয়েছিলাম সবার শোনার কথা। এরপর থেকে জামায়াত ও এনসিপি একই অবস্থান নিয়েছে মর্মে গণমাধ্যমে নিউজ হয়।’
তিনি দাবি করেন, ‘জামায়াতের সাথে এনসিপির সম্পর্ক আছে এটা গণমাধ্যমে আসুক, সেটি এনসিপি চায় না। তারা সম্পর্ক গোপন রাখতে চায়।’ গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দুই দল যে আলাদা আলাদা অবস্থানে এবং নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক নাই, এটি বোঝাতে এনসিপি জামায়াতের বিরুদ্ধে পিআর ইস্যুতে সমালোচনায় লিপ্ত হয়।’

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন