জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় আশুলিয়ায় ছয়জনের লাশ পোড়ানোর মামলায় ২০তম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গত বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ এই মামলার ২০তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন পুলিশের (উপপরিদর্শক) এসআই মো. আশরাফুল হাসান। তিনি বর্তমানে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানায় কর্মরত। আশুলিয়ায় ছয় লাশ পোড়ানোর মামলার পরবর্তী শুনানি ৫ নভেম্বর হবে বলে আদলত থেকে জাননো হয়।
জবানবন্দিতে আশরাফুল হাসান বলেন, চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল তিনি দায়িত্ব পালন করছিলেন। সে সময় আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বেতারবার্তার মাধ্যমে তাকে জানান, থানা ভবনের পশ্চিম পাশসংলগ্ন মনির ও লতিফ ম-লের পুরাতন টিনশেড বাড়ির সীমানাপ্রাচীরের মধ্যে গুলি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সেই সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছান। একটি চার্জারসহ ছয়টি রাইফেলের গুলি পরিত্যক্ত অবস্থায় জব্দ করেন।
আশরাফুল হাসানকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। জেরায় আইনজীবী বলেন, তিনি ও আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলামত সংগ্রহের নাটক তৈরি করেছেন। জবাবে আশরাফুল হাসান বলেন, এ কথা সত্য নয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার এ মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। এ মামলায় মোট আসামি ১৬ জন, তাদের মধ্যে আটজন গ্রেপ্তার আছেন। তারা হলেনÑ সাভার সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন, আশুলিয়া থানার সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল মালেক, আরাফাত উদ্দীন, কামরুল হাসান, শেখ আবজালুল হক ও সাবেক কনস্টেবল মুকুল চোকদার। তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামসহ এই মামলার আট আসামি পলাতক।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন