ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচনায় আসা সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল সোমবার এ আদেশ দেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমান। গুলশান থানার এ মামলায় গত ২২ অক্টোবর সেলিম প্রধানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হারুনুর রশিদ বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর মোজাম্মেল হক মামুন তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরি। সেলিম প্রধানের আইনজীবী রিমান্ড আবেদন বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত ২২ এপ্রিল সকালে গুলশান-১-এর জব্বার টাওয়ারের পাশে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ব্যানারে ৩০-৩৫ জন বিক্ষোভ মিছিল করেন। আসামিরা দেশের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের নিরাপত্তায় বিঘœ ঘটিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন স্লোগান দেন। পুলিশ সেখানে গিয়ে কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। কয়েকজন পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পুলিশ ওই দিনই গুলশান থানায় মামলা করে।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মামলাসংক্রান্তে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেন সেলিম প্রধান। আসামি ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িতদের অর্থের জোগান দিয়ে থাকেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে গুলশানের বারিধারার নেক্সাস ক্যাফে প্যালেস থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখান থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি সিসা উদ্ধারের কথাও জানায় পুলিশ।
এ ঘটনায় গুলশান থানার এসআই মাহমুদুল হাসান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় ২০ অক্টোবর তিনি জামিন পান। তবে এর পরই সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোয় সেলিম প্রধান আর মুক্তি পাননি। ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর হজরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে সেলিম প্রধানকে আটকের পর তার রাজধানীর গুলশান-বনানীর বাসা ও অফিসে অভিযান চালিয়েছিল র্যাব। ওই অভিযানে ২৯ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। ওই বাসায় দুটি হরিণের চামড়া পাওয়ায় সেলিম প্রধানকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে তাৎক্ষণিকভাবে ছয় মাসের কারাদ- দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পরদিন গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনে দুটি মামলা করে র্যাব। আর দুদক পরে অবৈধ সম্পদের আয়ের সঙ্গে সংগতিহীন সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করে। দুদকের ওই মামলায় তার আট বছরের কারাদ- হয়েছে। দীর্ঘ চার বছর কারাগারে থাকার পর ২০২৩ সালের অক্টোবরে জামিনে মুক্তি পান সেলিম প্রধান।
        
                            
                                    
                                                                
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
                                    
                                    
                                    
                                                                                    
                                                                                    
                                                                                    
                                                                                    
                                                                                    
                                                                                    
                            
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন