বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


আফরোজা লুনা, গাইবান্ধা

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২৫, ০২:০৭ এএম

সেতুর কাজ শেষ হওয়ার আগেই বিল নিয়ে উধাও

আফরোজা লুনা, গাইবান্ধা

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২৫, ০২:০৭ এএম

সেতুর কাজ শেষ হওয়ার  আগেই বিল নিয়ে উধাও

  • আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল আলমের নামে অভিযোগ
  • সেতুর কাজ অসম্পূর্ণ, এক মাসেই ভেঙে পড়ে
  • লোক দেখানো তদন্ত, কোনো ব্যবস্থা হয়নি

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলে একটি সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার আগেই চূড়ান্ত বিল তুলে উধাও হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সরকার। কাজ অসম্পূর্ণ থাকলেও তিনি ২৮ লাখ টাকার ফাইনাল বিল তুলে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ফলে সেতুটি ধসে পড়ায় এখন যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ২০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।

২০২২-২৩ অর্থবছরে উপজেলা পরিষদের এডিপি প্রকল্পে ২৭ লাখ ৫০ হাজার ২৫০ টাকা ব্যয়ে ১০৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে কংক্রিট ও কাঠের সেতু নির্মাণের কাজ হাতে নেওয়া হয়। কার্যাদেশ দেওয়া হয় ‘মেসার্স শাহানুর ইসলাম’ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। তবে উপজেলা প্রকৌশল অফিসের নেপথ্যে ঠিকাদার হিসেবে কাজ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা আশরাফুল আলম সরকার।

দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তিনি প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করে প্রকল্পের কাজ শেষ না করেই ২০২৩ সালের ১৮ জুন চূড়ান্ত বিল উত্তোলন করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, এর পরও কাজ শেষ দেখিয়ে দায়সারাভাবে কিছু কাঠ বসানো হয়।

বর্তমান উপজেলা প্রকৌশলী তপন কুমার সরকার বলেন, ‘২০২৪ সালের মে মাসে ২০টি আরসিসি পিলারের ওপর কাঠের সেতুর কাজ দেখানো হয়। কিন্তু এক মাসের মাথায় ২০ জুন রাতে বন্যার স্রোতে সেতুর ছয়টি গার্ডার দেবে গিয়ে অর্ধেক অংশ ভেঙে পড়ে।’

তখন দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলীও এলাকা ত্যাগ করেন। গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও সেগুলোর প্রতিবেদন আজও প্রকাশিত হয়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের ভোটে চেয়ারম্যান হয়ে তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। কিন্তু কাজ শেষ না করেই সরকারি টাকা তুলে পালিয়ে গেলেন। এখন ২০ গ্রামের মানুষ নদী পেরোতে নিজেরাই চাঁদা তুলে সাঁকো বানিয়ে চলাচল করছে।’

চরাঞ্চলের এই ২০ গ্রামের নারী, শিশু, শিক্ষার্থী ও অসুস্থ মানুষ প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই নড়বড়ে সাঁকো পার হচ্ছেন। অনেকেই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন, কেউ কেউ পা ভেঙে দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক কষ্টে ভুগছেন।

স্থানীয়রা বলছেন, ‘সরকারি টাকায় সেতু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সাঁকোই এখন আমাদের একমাত্র ভরসা। আশরাফুল আলম শুধু টাকা তুলেই নয়, মানুষের আশা নিয়েও পালিয়ে গেছেন।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!