বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের সঙ্গে আসা শিশুদের টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্থায়ী-অস্থায়ী টিকাকেন্দ্রে নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি দরিদ্র, ছিন্নমূল ও পথশিশুদেরও এই টিকার আওতায় আনা হয়।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে মাসব্যাপী এ ক্যাম্পেইনের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় গতকাল বৃহস্পতিবার সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে। এদিন প্রায় তিন শতাধিক ১৫ বছরের কম বয়সি শিশুকে টাইফয়েড টিকা প্রদান করা হয়। কক্সবাজার পৌরসভার সহযোগিতায় আয়োজিত এ কর্মসূচির প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মান্নান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, টাইফয়েড টিকা নিরাপদ ও কার্যকর। শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকার এই টিকাদান কার্যক্রম হাতে নিয়েছে, যা টাইফয়েড প্রতিরোধে এবং শিশুমৃত্যু হার কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদুল হক।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. কনিণীকা দস্তিদার, পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর আবদুর রহিমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, ইপিআই কর্মসূচির আওতায় জেলাজুড়ে ২ হাজার ৯৩৬টি টিকাদান কেন্দ্রে গত ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হয় এই টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন। বৃহস্পতিবার শেষ দিন পর্যন্ত ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সি ৯ লাখ ৬ হাজার ৫৫৪ জন শিশুকে বিনা মূল্যে টিকা প্রদান করা সম্ভব হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন