শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সজিবুল ইসলাম, কালাই

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২৫, ০১:৩১ এএম

স্কুলের মাঠে নির্মাণসামগ্রী, বন্ধ শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা

সজিবুল ইসলাম, কালাই

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২৫, ০১:৩১ এএম

স্কুলের মাঠে নির্মাণসামগ্রী,  বন্ধ শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার তেলিহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে দেড় বছর ধরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নির্মাণসামগ্রী ফেলে রাখার কারণে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষক ও অভিভাবকেরা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উদয় চন্দ্র বর্মণ জানান, বিদ্যালয়ের প্রায় ৪২ শতক আয়তনের মাঠে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ১ কোটি ৭ লাখ ১৭ হাজার ৭৭৪ টাকার ব্যয়ে একটি নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০২৫ সালের জুনে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনো ভবনটির কাজ শেষ হয়নি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স ফিরোজ কনস্ট্রাকশন’ ইট, বালি, খোয়া ইত্যাদি নির্মাণসামগ্রী দেড় বছর ধরে মাঠে ফেলে রেখেছে। এতে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে পারছে না।

বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ১০৫ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। মাঠে খেলাধুলা না করতে পারায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা কাজ করছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জুই, রাকিব ও মোহনা জানায়, তারা স্কুলে এসে মাঠে খেলতে করতে পারেন না। শুধু ক্লাস ছাড়া তাদের আর কিছুই করা হয়নি। এ জন্য তাদের খারাপ লাগে।

অভিভাবকেরা বলছেন, শুধু বই পড়াই শিশুদের পূর্ণ বিকাশ নিশ্চিত করতে পারে না। খেলাধুলা তাদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের অন্যতম অংশ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলায় সেই পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

উদয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোছা. কারিমা বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠে দীর্ঘদিন ধরে নির্মাণসামগ্রী রাখা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিষয়টি উপজেলা এলজিইডি ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফিরোজ কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী ফিরোজ আহমেদ রিজু জানান, একাডেমিক ভবনের বাকি কাজ দ্রুত শেষ করা হবে এবং এরই মধ্যে বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে নির্মাণসামগ্রী ধীরে ধীরে সরানো হচ্ছে।

উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী সুমন কুমার দেবনাথ বলেন, তিনি সম্প্রতি এখানে যোগদান করেছেন। তারপরেও বিষয়টি খোজ-খবর নিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!