সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


আরিফুল ইসলাম রাফি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২৫, ০১:২২ এএম

গার্মেন্টস খাতের ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ

আরিফুল ইসলাম রাফি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২৫, ০১:২২ এএম

গার্মেন্টস খাতের ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ

বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি পোশাকশিল্প বা তৈরি পোশাক খাত। প্রায় চার দশকের পথচলায় এ খাত শুধু দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান উৎস নয়, এটি কর্মসংস্থানেরও সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র। দেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৩ শতাংশ আসে এই খাত থেকে। ৫০ লাখের বেশি শ্রমিক, যাদের অধিকাংশ নারী, প্রতিদিন ঘাম ঝরান এই শিল্পে।

কিন্তু বিশ্ববাজারের প্রতিযোগিতা, প্রযুক্তিগত পরিবর্তন, শ্রমমূল্যের চাপ, রাজনৈতিক অস্থিরতা, পরিবেশগত ঝুঁকি এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রশ্ন; সব মিলিয়ে গার্মেন্টস খাত এখন এক সন্ধিক্ষণে। প্রশ্ন উঠছে, আগামী দশকে এ শিল্প কি টিকে থাকতে পারবে একই শক্তিতে? নাকি সামনে অপেক্ষা করছে কঠিন বাস্তবতা?

১৯৮০-এর দশকে যখন বাংলাদেশ স্বাধীনতার ক্ষত কাটিয়ে অর্থনৈতিকভাবে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, তখন কিছু উদ্যোক্তা গড়ে তুলেছিলেন গার্মেন্টস শিল্পের ভিত। প্রাথমিকভাবে দক্ষিণ কোরিয়া ও হংকং থেকে প্রযুক্তি এবং বাজার সহায়তা নিয়ে এই শিল্প শুরু হয়।

তারপরের ইতিহাস আশ্চর্যজনক। ১৯৯০-এর দশকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাজারে জায়গা করে নেয়। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এমনকি পশ্চিমা গণমাধ্যমও তখন বলেছিল, ‘বাংলাদেশের নারী শ্রমিকরা বদলে দিচ্ছে অর্থনীতির চেহারা।’ নিঃসন্দেহে এ শিল্প দেশের নারী ক্ষমতায়নে, গ্রামীণ অর্থনীতির প্রসারে এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে অভূতপূর্ব অবদান রেখেছে। কিন্তু এখন প্রশ্ন, এ সাফল্য টিকিয়ে রাখতে পারব কি?

বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প যে জায়গায় এখন, সেখানে পৌঁছাতে সময় লেগেছে ৪০ বছর। কিন্তু এখন প্রতিদ্বন্দ্বী বাড়ছে। ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার এমনকি আফ্রিকার কিছু দেশও তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বড় ভূমিকা নিচ্ছে।

ভিয়েতনাম এখন বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী। তাদের শ্রমিক দক্ষ, উৎপাদনশীলতা বেশি এবং প্রযুক্তি ব্যবহারে তারা এগিয়ে। অন্যদিকে বাংলাদেশ এখনো মূলত শ্রমনির্ভর উৎপাদন ব্যবস্থায় আটকে আছে।

চীন অনেক আগেই ‘লো-ভ্যালু’ পোশাক উৎপাদন থেকে সরে গেছে, কিন্তু তারা উচ্চমূল্যের টেক্সটাইল পণ্যে বিনিয়োগ করছে। ফলে, বাংলাদেশের জায়গায় এখন নতুন দেশগুলো ঢুকে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে কেবল শ্রমনির্ভর পদ্ধতি নয়, প্রযুক্তি ও দক্ষতানির্ভর রূপান্তর জরুরি।

বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের সবচেয়ে বড় বিতর্ক; শ্রমিকের মজুরি। বর্তমান ন্যূনতম মজুরি (২০২৪ অনুযায়ী) মাসে প্রায় ১২,৫০০ টাকা। এই অর্থে এক শ্রমিকের পক্ষে পরিবার চালানো কার্যত অসম্ভব। অন্যদিকে ক্রেতারা সব সময় কম দামে পণ্য চায়।

এই টানাপোড়েনে তৈরি পোশাকশিল্প পড়ে আছে এক অদ্ভুত দ্বন্দ্বে। একদিকে শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার, অন্যদিকে উৎপাদন খরচ কম রাখার চাপ।

শ্রমিক বিক্ষোভ, ধর্মঘট, কারখানা বন্ধ, বিদেশি ক্রেতার নেতিবাচক ধারণা; সব মিলিয়ে এ সমস্যা শুধু মানবিক নয়, অর্থনৈতিকভাবেও বিপজ্জনক।

বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ইতোমধ্যেই শ্রমিক অধিকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ফলে শ্রমিক কল্যাণ শুধু নৈতিক নয়, এটি এখন রপ্তানি টিকিয়ে রাখার পূর্বশর্ত।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালো দিন। সাভারের রানা প্লাজা ধসে নিহত হন ১,১৩৪ জন শ্রমিক। এ ঘটনার পর পুরো বিশ্ব তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশের দিকে। এই ট্র্যাজেডির পর বাংলাদেশ সরকার, আইএলও, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ড একসঙ্গে কাজ করে নিরাপত্তা মান উন্নয়নে উদ্যোগ নেয়। ‘অ্যাকর্ড’ ও ‘অ্যালায়েন্স’ নামে দুটি আন্তর্জাতিক চুক্তি হয়, যার ফলে হাজারো কারখানায় বিল্ডিং সেফটি ও ফায়ার সেফটি পরীক্ষা হয়।

এক দশক পর বলা যায়, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ পোশাক উৎপাদনকারী দেশ। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই নিরাপত্তা কি সব শ্রমিকের কাছে পৌঁছেছে? ছোট ও মাঝারি কারখানাগুলোর অবস্থা এখনো শোচনীয়। তাই, রানা প্লাজার শিক্ষা এখনো অসম্পূর্ণ। নিরাপত্তা সংস্কৃতি যদি শিকড় গাঁততে না পারে, তাহলে আরেকটি দুর্ঘটনা যেকোনো সময় পুরো শিল্পকে নড়বড়ে করে দিতে পারে।

বিশ্ব এখন টেকসই উন্নয়নের দিকে যাচ্ছে। ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি পৃথিবীর অন্যতম দূষণকারী খাত। তাই গ্রিন ফ্যাক্টরি ও পরিবেশবান্ধব উৎপাদনের দিকে ঝুঁকছে বড় ব্র্যান্ডগুলো। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে আশ্চর্যজনকভাবে এগিয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি সবুজ কারখানার মধ্যে ৭টিই বাংলাদেশে। ২০০টিরও বেশি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক টঝএইঈ থেকে খঊঊউ সার্টিফিকেট পেয়েছে। এটি একটি গর্বের বিষয়। কিন্তু এটি এখন আর বিকল্প নয়, বাজারে টিকে থাকার শর্ত। যেসব দেশ পরিবেশবান্ধব উৎপাদনে অগ্রসর, তারাই ভবিষ্যতের অর্ডার পাবে। ফলে, বাংলাদেশের গার্মেন্টস মালিকদের এখনই দূষণ নিয়ন্ত্রণ, জ্বালানি দক্ষতা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।

বিশ্বে পোশাকশিল্পে দ্রুত প্রযুক্তিগত রূপান্তর ঘটছে। রোবটিক কাটিং, অটোমেটেড সেলাই, ডিজিটাল প্যাটার্ন ডিজাইন; সবই উৎপাদনকে দ্রুত ও খরচ-সাশ্রয়ী করে তুলছে। কিন্তু বাংলাদেশের অনেক কারখানা এখনো পুরোনো যন্ত্রে চলছে। শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণও পর্যাপ্ত নয়। ফলে, যখন প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিযোগিতা শুরু হবে, তখন বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়তে পারে। এ ছাড়া, স্বয়ংক্রিয়তার ফলে শ্রমিক সংখ্যা কমে যাওয়ার আশঙ্কাও আছে। তাই এখন থেকেই শিল্পকে এমনভাবে প্রস্তুত করতে হবে, যাতে প্রযুক্তির সঙ্গে শ্রমিকের কাজের ভারসাম্য থাকে।

কোভিড-১৯ মহামারির সময় দেখা গেছে বিশ্বের পোশাক বাজার কতটা অস্থির হতে পারে। অর্ডার বাতিল, পেমেন্ট আটকে যাওয়া, কারখানা বন্ধ; সব মিলিয়ে হাজারো শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ইউরোপে মন্দা, মার্কিন অর্থনীতির ওঠানামা; সবই প্রভাব ফেলছে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজারে। বাংলাদেশের ৭৫ শতাংশ পোশাক ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকায় যায়। কিন্তু এ নির্ভরশীলতা ঝুঁকিপূর্ণ। তাই নতুন বাজারÑ জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার দেশগুলোতে প্রবেশ করতে হবে। একই সঙ্গে, পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়ানো দরকার; শুধু টি-শার্ট বা জিনস নয়, উচ্চমূল্যের ডিজাইনার পণ্য ও টেকনিক্যাল টেক্সটাইল উৎপাদনই ভবিষ্যতের পথ।

বিশ্বের বড় বড় ব্র্যান্ডগুলো চায় ‘ফাস্ট ফ্যাশন’: দ্রুত উৎপাদন, কম দাম, কিন্তু উচ্চ মান। এই কম দামে ভালো পণ্য চাওয়ার ফলে চাপ পড়ে শ্রমিক ও উদ্যোক্তা উভয়ের ওপর। উৎপাদন খরচ বাড়লেও, ক্রেতারা দাম বাড়াতে রাজি নয়। এতে করে অনেক কারখানা টিকে থাকতে পারছে না, কেউ কেউ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বড় গ্রুপ টিকে যাচ্ছে, কিন্তু ছোট উদ্যোক্তারা ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের পোশাকশিল্প যদি ন্যায্যমূল্য না পায়, তাহলে টেকসইভাবে চলা অসম্ভব হয়ে পড়বে।

গার্মেন্টস শ্রমিক মানেই ক্লান্ত মুখ, ঘর্মাক্ত দেহ, ছোট কক্ষের ভেতরে দীর্ঘ ১০-১২ ঘণ্টার কাজ। এই শ্রমিকরাই দেশের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখছেন, কিন্তু তাদের জীবন মান উন্নত হয়নি। অনেক শ্রমিক এখনো বস্তিতে থাকেন, সন্তানদের ভালো শিক্ষা দিতে পারেন না, স্বাস্থ্যসেবা পান না। এ মানবিক বাস্তবতা শুধু সামাজিক নয়, অর্থনৈতিকভাবেও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সন্তুষ্ট শ্রমিকই উৎপাদন বাড়ায়, অসন্তুষ্ট শ্রমিক অস্থিরতা আনে। গার্মেন্টস মালিকদের উচিত শ্রমিক কল্যাণে বিনিয়োগকে খরচ নয়, বরং লাভের বিনিয়োগ হিসেবে দেখা।

বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (খউঈ) তালিকা থেকে উত্তীর্ণ হবে। তখন হারাতে হবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি (এবহবৎধষরুবফ ঝুংঃবস ড়ভ চৎবভবৎবহপবং) সুবিধা। এ সুবিধার কারণে বাংলাদেশ এখন শুল্কমুক্তভাবে ইউরোপে পণ্য রপ্তানি করতে পারে। কিন্তু উত্তরণের পর শুল্ক দিতে হবে। এতে প্রতিযোগিতায় ভিয়েতনাম বা কম্বোডিয়ার মতো দেশ এগিয়ে যাবে, যারা ইতোমধ্যেই মুক্তবাণিজ্য চুক্তি করেছে। তাই, এখন থেকেই বাংলাদেশের উচিত নতুন বাণিজ্য চুক্তি (ঋঞঅ) স্বাক্ষর করা, যেন বাজারে প্রতিযোগিতা বজায় থাকে।

বাংলাদেশে গার্মেন্টস খাতে মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক সব সময়ই টানটান। ধর্মঘট, বিক্ষোভ, কারখানা বন্ধ, মামলা; সবই প্রায় নিয়মিত ঘটনা। এ পরিস্থিতিতে পারস্পরিক আস্থা তৈরি না হলে, কোনো শিল্পই দীর্ঘমেয়াদে টিকতে পারে না। মালিকদের বুঝতে হবে, শ্রমিকই তাদের আসল শক্তি; আর শ্রমিকদেরও বুঝতে হবে, কারখানা বন্ধ মানেই সবার ক্ষতি। এখন প্রয়োজন ট্রাস্ট বিল্ডিং বা পারস্পরিক আস্থার সংস্কৃতি। মালিক-শ্রমিক একে অপরকে প্রতিপক্ষ নয়, সহযোদ্ধা হিসেবে দেখলে গার্মেন্টস খাত আবারও স্থিতিশীল হবে।

বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সবচেয়ে বড় অর্জন হলো নারীর অংশগ্রহণ। ৮০ শতাংশেরও বেশি শ্রমিক নারী। এই নারীরা শুধু অর্থনীতিকে এগিয়ে নেননি, সমাজের ধ্যানধারণাও পাল্টে দিয়েছেন। তারা পরিবারে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, সন্তানের শিক্ষায় ভূমিকা রাখছেন, আত্মনির্ভর হচ্ছেন।

তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নারী শ্রমিকের সংখ্যা কিছুটা কমছে। অটোমেশন, বেতন বৈষম্য, নিরাপত্তা সংকট; এসব কারণে অনেক নারী কাজ ছাড়ছেন।

যদি এ প্রবণতা বাড়ে, তাহলে গার্মেন্টস শিল্পের মানবিক ভিত্তিটিই দুর্বল হবে। তাই নারী শ্রমিকের জন্য নিরাপদ পরিবেশ, মাতৃত্বকালীন সুবিধা ও প্রশিক্ষণ অপরিহার্য।

বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে গার্মেন্টস খাতকে স্মার্ট ও টেকসই রূপে গড়ে তোলা। এর মানে ডিজিটাল প্রক্রিয়া, টেকসই জ্বালানি, দক্ষ জনশক্তি এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন উৎপাদন।

এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন

প্রযুক্তিনির্ভর কারখানা ব্যবস্থাপনা। দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, গবেষণা ও উদ্ভাবনকেন্দ্র। স্থানীয়ভাবে ডিজাইন ও ফ্যাশন ব্র্যান্ড তৈরি। এভাবে যদি বাংলাদেশের পোশাকশিল্প শুধু ‘মজুরিপ্রধান উৎপাদন’ থেকে ‘জ্ঞানভিত্তিক শিল্পে’ রূপ নিতে পারে, তবেই এটি টিকে থাকবে আগামী শতকে।

বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাত আমাদের অর্থনীতির হৃৎস্পন্দন। বিশ্ববাজারের প্রতিযোগিতা, শ্রমিক সংকট, প্রযুক্তির পরিবর্তন ও পরিবেশগত দায়বদ্ধতা; সবকিছুই একসঙ্গে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই শিল্পকে বাঁচাতে হলে এখনই পরিবর্তনের পথে হাঁটতে হবে। শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে, প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, নতুন বাজার খুঁজে নিতে হবে এবং ‘দায়িত্বশীল উৎপাদন’-এর সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। গার্মেন্টস খাত একসময় বাংলাদেশের গর্ব ছিল, এখন সেটি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ।

এই ভবিষ্যৎ টিকিয়ে রাখতে হলে এখনই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নইলে একদিন হয়তো ইতিহাস বলবে, ‘যে শিল্প একসময় দেশকে বাঁচিয়েছিল, সেই শিল্পই টিকতে পারেনি সময়ের পরীক্ষায়।’

আরিফুল ইসলাম রাফি
শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগÑ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!