পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ঝাটরা সফের মুন্সীর ব্রিজ থেকে আলী আকবরের দোকান হয়ে পশ্চিম ঝাটরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় ১.৭৫ কিলোমিটার এলজিইডি নির্মিত হেরিংবন্ড সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ইট সরে গিয়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সড়কটি বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়ে এখন প্রায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে শিক্ষার্থী, রোগী ও পথচারীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। দ্রুত সংস্কার বা পাকাকরণের দাবি জানান স্থানীয়রা।
গত শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের বহু জায়গায় ইট উঠে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। বর্ষায় হাঁটুসমান কাদা জমে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়। বিশেষ করে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেছে। জরুরি সময়ে রিকশা-ভ্যান ও অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করতে না পারায় অসুস্থ রোগী বহনেও মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে।
এলাকার বাসিন্দা এম আমির হোসাইন বলেন, এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন স্কুলের শিশু, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষ চলাচল করেন। কিন্তু বেহাল অবস্থার কারণে শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মধ্যে থাকে। স্থানীয় দোকানদার আলী আকবর জানান, বছরের পর বছর সড়কটির কোনো সংস্কার হয়নি। বর্ষায় কাদা আর শুকনো মৌসুমে ধুলোয় দোকানপাট ঢেকে যায়। বারবার অভিযোগ করেও কোনো কাজ হয়নি বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
৩৪নং পশ্চিম ঝাটরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ আলম বলেন, খারাপ সড়কের কারণে শিক্ষার্থীদের প্রতিদিনই ভোগান্তি পোহাতে হয়। বৃষ্টির দিনে অনেক সময় পড়ে গিয়ে আঘাতও পায় তারা।
আঙ্গারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান সড়কটির বেহাল দশা স্বীকার করে জানান, বাজেট সংকটের কারণে সংস্কার কাজ করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জব্বার সিকদার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, অবিলম্বে সড়ক সংস্কার শুরু না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন তারা।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, সরেজমিন পরিদর্শন শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে এলাকাবাসী দ্রুত সড়কটি পাকাকরণসহ সংস্কারের জোর দাবি জানিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন