সর্বশেষ ১৯৯৮ সালের বিশ^কাপে খেলেছিল নরওয়ে। ২৮ বছর পর সরাসরি ২০২৬ বিশ^কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল ইউরোপের দেশটি। গত রবিবার রাতে চারবারের সাবেক বিশ^ চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে ৪-১ গোলে হারিয়ে আগামী বিশ^কাপে খেলা নিশ্চিত করল নরওয়ে। আর্লিং হল্যান্ডের জাদুকরি ফুটবলে বিশ^কাপে ফেরার স্বপ্নপূরণ হয়েছে তাদের। অন্যদিকে, নওয়ের কাছে হারের পর এখন আর সরাসরি বিশ^কাপ খেলার সুযোগ নেই ইতালির। এবার প্লে-অফের পরীক্ষায় পাস করতে হবে তাদের।
সান সিরোতে নওয়ের বিপক্ষে ইতালিই প্রথম গোল করেছিল। ফ্রান্সিসকো পিও এসপোসিতোর গোলে ১১ মিনিটে এগিয়ে যায় তারা। এরপর ম্যাচের ৬৩ মিনিট পর্যন্ত এই ব্যবধান ধরে রাখতে পারে ‘আজ্জুরি’রা। কিন্তু ৬৩ মিনিট থেকে দেখা মেলে অন্য এক নরওয়ের। প্রথমে গোল করে নরওয়েকে সমতায় ফেরান আন্তোনিও নুসা। এরপর এক মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করেন হলান্ড। আর যোগ করা সময়ে ইতালির জালে চতুর্থবার বল জড়ান স্ট্রান্ড লারসেন। এই ম্যাচ দিয়ে শেষ হয়েছে গ্রুপ ‘আই’-এর বিশ^কাপ বাছাইয়ের লড়াই। যেখানে ৮ ম্যাচের সবকটিতে জিতে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকল নরওয়ে। সমান ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে ইতালি আছে দুইয়ে। এর ফলে ২০১৮ ও ২০২২-এর পর এখন ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়েও শঙ্কায় পড়ল ইতালি। চারবারের বিশ্বকাপজয়ীদের প্লে-অফ অভিজ্ঞতাও কিন্তু সুখকর নয়। ২০১৮ বিশ্বকাপে ওঠার লড়াইয়ে প্লে-অফে তারা সুইডেনের বিপক্ষে দুই লেগ মিলিয়ে ১-০ ব্যবধানে হেরেছিল। চার বছর পর ২০২২ বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্নও ভেঙে যায় প্লে-অফে উত্তর মেসিডোনিয়ার কাছে ১-০ গোলের হারে।
ইতালিকে হতাশায় ভাসিয়ে নরওয়েকে বিশ্বকাপে ফেরানোর নায়কের নাম হলান্ড। যিনি টানা ১১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে গোল করার কীর্তি গড়েছেন। ২০২৪ সালের ১৪ নভেম্বর স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে গোল করে এই রেকর্ডের পথে যাত্রা শুরু করেছিলেন ম্যানচেস্টার সিটিতে খেলা এই স্ট্রাইকার। রেকর্ডটি এর আগে মালয়েশিয়ার আবদুল ঘানি মিনহাতের দখলে ছিল। যিনি ২৮ মে ১৯৬১ থেকে ২৮ আগস্ট ১৯৬২ পর্যন্ত টানা ১১ ম্যাচে গোল করেছিলেন। এখন হলান্ডের সামনে সুযোগ মিনহাতকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। এদিকে ইতালি সরাসরি বিশ্বকাপ নিশ্চিত করতে না পারা নিয়ে দেশটির শীর্ষ ফুটবল সাংবাদিক জেমস হর্নক্যাসল ইউরো লিগস পডকাস্টে বলেন, ‘বিশ্বকাপ এখন আরও বড় হয়েছে, আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি দল অংশ নিচ্ছে, তারপরও ইতালির বাদ পড়তে যাচ্ছে। ২০১৭ সালে প্রথমবার বাদ পড়ার সময় একে ‘মহাবিপর্যয়’ বলা হয়েছিল। এখন আমরা সেই মহাবিপর্যয়ের কোন স্তরে আছি, তা আমি সত্যিই জানি না।’ ইতালির কোচ গেনারো গাত্তুসো অবশ্য বাদ পড়ার কারণ হিসেবে বাছাইপর্বের প্রক্রিয়াকে দায়ী করেছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন