শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ইনফোটেক প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২৫, ০৫:৫৭ এএম

বিদেশ থেকে আনা মোবাইল নিবন্ধন করবেন যেভাবে

ইনফোটেক প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২৫, ০৫:৫৭ এএম

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

দেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারের নিয়মে বড় পরিবর্তন আসছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার বা এনইআইআর (ঘঊওজ)। মূলত অনিবন্ধিত আইএমইআই নম্বর শনাক্ত করা, অবৈধ ফোন বন্ধ করা এবং নকল ডিভাইসের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আনার উদ্দেশ্যেই এই ব্যবস্থা। নতুন নিয়ম চালু হওয়ায় দেশি-বিদেশি সব ফোনই ধাপে ধাপে নিবন্ধন প্রক্রিয়ার আওতায় আসবে। তবে ব্যবহারকারীদের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, দেশ থেকে কেনা ফোন তো সহজেই নিবন্ধন করা যাবে, কিন্তু বিদেশ থেকে আনা বা উপহার হিসেবে পাওয়া ফোনের কী হবে? তাহলে কি বিদেশ থেকে আর ফোন আনা সম্ভব নয়, নাকি এসব ফোন ব্যবহার করা যাবে না? যদি আনা যায় সেগুলো নিবন্ধন করতে হলে কী কী করতে হবে? চলুন জেনে নেই প্রশ্নগুলোর উত্তর

মূলত, বিদেশ থেকে আনা বৈধ ফোন দেশে ঢুকেই বন্ধ হয়ে যাবে, বিষয়টা এমন নয়। বিদেশ থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে বৈধভাবে ক্রয় বা উপহারপ্রাপ্ত হ্যান্ডসেটের প্রসঙ্গে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, এমন হ্যান্ডসেট প্রাথমিকভাবে দেশের নেটওয়ার্কে সচল থাকবে। ব্যবহারকারীকে এসএমএস পাঠিয়ে জানানো হবে যে ৩০ দিনের মধ্যে তাকে অনলাইনে প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দিতে হবে। এ সময় ফোন স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু সময়সীমার মধ্যে যদি নিবন্ধন সম্পন্ন না হয় বা জমা দেওয়া তথ্য যাচাইয়ে অসঙ্গতি থাকে, তাহলে ডিভাইসটিকে নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে। অর্থাৎ বিদেশ থেকে ফোন আনতে পারবেন, ব্যবহারও করতে পারবেন-শুধু সঠিকভাবে নিবন্ধন করতে হবে।

কেন এনইআইআর চালু করা হচ্ছে

বাংলাদেশে বছরে বিপুলসংখ্যক মোবাইল সেট ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে অনেক ডিভাইস নকল আইএমইআই ব্যবহার করে বা অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করে। এতে গ্রাহক প্রতারিত হওয়ার পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা ও রাজস্ব উভয় দিকেই ঝুঁকি তৈরি হয়। এনইআইআর চালু হলে প্রতিটি বৈধ ফোনের আইএমইআই নম্বর একটি কেন্দ্রীভূত ডেটাবেইসে যুক্ত থাকবে। ফলে কোনো ডিভাইস বৈধ আর কোনটি অবৈধ, তা সহজেই শনাক্ত করা যাবে। একই সঙ্গে হারানো ফোন শনাক্ত করা, চুরি কমানো এবং নকল ফোনের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতেও সহায়তা করবে। ব্যবহারকারীর দিক থেকে নকল ফোন কিনে প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা কমবে এবং নেটওয়ার্ক মানও স্থিতিশীল হবে।

বিদেশি ফোন আনার নিয়ম

ব্যাগেজ রুল অনুযায়ী একজন যাত্রী একটি ব্যবহৃত ব্যক্তিগত ফোনের পাশাপাশি একটি নতুন ফোন বিনা শুল্কে আনতে পারেন। এবং চাইলে অতিরিক্ত একটি ফোন শুল্ক দিয়ে আনতে পারবেন। এর বেশি ফোন আনলে কাস্টমস শুল্ক প্রমাণপত্র না থাকলে নিবন্ধনের সময় সমস্যা হতে পারে। অর্থাৎ বিদেশ থেকে ফোন আনতে বাধা নেই, তবে নিয়ম মেনে আনতে হবে। বিটিআরসি জানিয়েছে, নিবন্ধন ছাড়া কোনো বিদেশি ফোন দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে চালু রাখা যাবে না। বিদেশ থেকে ক্রয় করা বা উপহারপ্রাপ্ত মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের জন্য গ্রাহককে প্রথমে হবরৎ.নঃৎপ.মড়া.নফ পোর্টালে প্রবেশ করে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করতে হবে। এরপর ঝঢ়বপরধষ জবমরংঃৎধঃরড়হ সেকশনে গিয়ে মোবাইলের নম্বর দিতে হবে। ঝঢ়বপরধষ জবমরংঃৎধঃরড়হ সেকশনে গিয়ে মোবাইলের ওগঊও দেওয়ার পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান কপি বা ছবি-যেমন পাসপোর্টের ভিসা বা ইমিগ্রেশন পৃষ্ঠা, ক্রয়ের রসিদ ইত্যাদি-আপলোড করে ঝঁনসরঃ করতে হবে। হ্যান্ডসেট বৈধ হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হয়ে যাবে। আর অবৈধ হলে এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহককে জানিয়ে সেই ফোনটি নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে। স্পেশাল রেজিস্ট্রেশনের জন্য যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন-

১. পাসপোর্টের ব্যক্তিগত তথ্যযুক্ত পাতার ছবি।

২. পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন সিল থাকা পাতার ছবি।

৩. ক্রয় রশিদ।

৪. প্রয়োজনে কাস্টমস শুল্ক প্রদানের প্রমাণপত্র (যদি একটির বেশি হ্যান্ডসেট হয়)।

উপহার হিসেবে পাওয়া হ্যান্ডসেটের ক্ষেত্রে ওপরের কাগজগুলোর সঙ্গে অতিরিক্তভাবে দিতে হবে ‘উপহারদাতার প্রত্যয়নপত্র’। অন্যদিকে, এয়ারমেইলে পাওয়া হ্যান্ডসেটের জন্য প্রয়োজন হবে-

১. প্রেরকের পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্রের স্ক্যান কপি (যদি প্রযোজ্য হয়)।

২. প্রাপকের জাতীয় পরিচয়পত্র।

৩. ক্রয় রশিদ।

৪. শুল্ক প্রদানের রশিদ (যদি একটির বেশি হ্যান্ডসেট হয়)

নিবন্ধন না করলে কী হবে?

৩০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন না করলে বা কাগজপত্র মিল না থাকলে ফোনটিকে ‘অবৈধ’ হিসেবে শনাক্ত করা হবে। এরপর নির্দিষ্ট সময় শেষে সেটি নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে। অর্থাৎ ফোনটি চালু থাকলেও মোবাইল সিগনাল পাওয়া যাবে না। নিবন্ধনের ক্ষেত্রে যে ভুলগুলো করলে সমস্যা হতে পারে তাও  জেনে রাখা উচিত। ভুল বা ভুয়া আইএমইআই দেওয়া, রশিদের অস্পষ্ট ছবি আপলোড করা, কাস্টমস শুল্ক প্রদানের রশিদ না দেওয়া (যদি একটির বেশি ফোন আনা হয়), অন্যের পাসপোর্ট বা উড়োজাহাজ টিকিট ব্যবহার করা; এসব কারণে নিবন্ধন বাতিল হতে পারে।

বিটিআরসির বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে- এনইআইআর  সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য জানার জন্য হেল্পডেস্ক ১০০ নম্বরে কল করা যাবে। যেকোনো মোবাইল অপারেটরের নম্বর থেকে ডায়াল করুন *১৬১৬১#। অপারেটরদের কাস্টমার কেয়ার ১২১ নম্বরে কল করেও সহায়তা পাওয়া যাবে।

Link copied!