শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০২৫, ০৭:২৪ এএম

বেনাপোল বন্দরে প্রতিদিনই বাড়ছে চুরি-ছিনতাই

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০২৫, ০৭:২৪ এএম

বেনাপোল বন্দরে প্রতিদিনই  বাড়ছে চুরি-ছিনতাই

*** নিরাপত্তা কমিটি গঠন

দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রথম শ্রেণির কেপিআইভুক্ত বেনাপোল স্থলবন্দরের নিরাপত্তা ঘাটতি, যাত্রী হয়রানি ও চুরি-ছিনতাই বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্টরা। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিরাপত্তা জোরদার ও সার্বিক কার্যক্রম তদারকির লক্ষ্যে ৯ সদস্যবিশিষ্ট নতুন নিরাপত্তা কমিটি গঠন করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) ও উপ-সচিব মো. শামীম হোসেন।

সভায় বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) রাশেদুল সজিব নাজিরকে আহ্বায়ক এবং সহকারী পরিচালক (প্রশাসন-১) কাজী রতনকে সদস্য সচিব করে এ কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটিতে বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক)-১, সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক)-১, সহকারী প্রোগ্রামার, এপিবিএন ক্যাম্প ইনচার্জ, ফায়ার পরিদর্শক, আনসার ক্যাম্প প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) ও বেসরকারি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্মকর্তাকে সদস্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) ও উপ-সচিব মো. শামীম হোসেন বলেন, ‘সিসিটিভি মনিটরিংয়ের মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা নজরদারি করা হয়। কিন্তু বন্দর এলাকায় সব প্রশাসন এক সঙ্গে কাজ করলে বেনাপোলকে নিরাপত্তার চাদরে আরও শক্ত নিরাপত্তা বলয়ে আনা সম্ভব।’ তিনি আরও জানান, চোরাকারবারি ও চেকপোস্ট এলাকায় চুরি-ছিনতাই প্রতিরোধে টার্মিনালে ম্যাজিস্ট্রেট অফিস স্থাপন করা হয়েছে। যাতে দ্রুত বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করে অপরাধীদের তাৎক্ষণিক সাজা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানো যায়।

সভায় বক্তারা সিকিউরিটি গার্ডদের আচরণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার সবচেয়ে দুর্বল অংশ সিকিউরিটি গার্ডরা। তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে চুরি-ছিনতাই বন্ধ হবে না।

স্থানীয় বন্দর ব্যবহারকারী ও যাত্রীরা যাত্রীসেবা নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করে জানান, বন্দরে সাধারণ শ্রমিকদের টয়লেট নেই, নামাজের নির্ধারিত জায়গা নেই, যাত্রীসেবার নামে আদায় করা ৬০ টাকা সেবা ফি’র কোনো ব্যবহার তারা পান না, প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন প্রশাসনের দখলে থাকায় যাত্রীদের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।

যাত্রীরা অভিযোগ করেন, ‘গরুর খাটালের মতো লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে ক্লান্ত হয়ে মাটিতে বসে পড়তে হয়। প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের টয়লেট পর্যন্ত ব্যবহার করা যায় না। ফলে প্রতিনিয়ত চুরি-ছিনতাইয়ের শিকার হতে হচ্ছে।’

একাধিক সূত্র জানায়, বন্দর এলাকায় চুরি-ছিনতাই ও প্রতারণার বিশাল সিন্ডিকেট সক্রিয়। বহু যাত্রী চলার পথে সর্বস্ব হারিয়েছেন, চিকিৎসার টাকা খুইয়ে কেউ কেউ এখানে মৃত্যুবরণও করেছেন।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!