ট্রাম্প বলেন, বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলন হবে, তবে সেটা যৌথ হবে কি না, তিনি জানেন না। ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সীমান্ত ও ভূখ- বিনিময় হতে পারে।
ট্রাম্প বলেন, এই বৈঠক দাবার মতো সাজানো। এই (প্রথম) বৈঠক দ্বিতীয় বৈঠকের প্রস্তুতি হিসেবে কাজ করবে, তবে ২৫ শতাংশ শঙ্কা আছে যে প্রথম বৈঠক সফল নাও হতে পারে।
ট্রাম্প বলেন, চুক্তি করা হবে পুতিন ও জেলেনস্কির দায়িত্ব, তিনি তাদের হয়ে সমঝোতা করবেন না।
বর্তমানে রাশিয়া ইউক্রেনের প্রায় পাঁচভাগের একভাগ ভূখ- নিয়ন্ত্রণ করছে। জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের আশঙ্কা, কোনো চুক্তি হলে তা এসব দখল পাকাপোক্ত করে দেবে, যা পুতিনকে ইউক্রেন দখলের ১১ বছরের প্রচেষ্টায় পুরস্কৃত করবে এবং তাকে ইউরোপে আরও আগ্রাসী হতে উসকে দেবে।
এক ইউরোপীয় কূটনীতিক বলেন, আগামী কয়েক ঘণ্টায় কী ঘটে তা দেখা ভয়ের বিষয় হবে। ট্রাম্প গতকাল ইউরোপের সঙ্গে ভালোভাবেই কথা বলেছিলেন, কিন্তু সেটা ছিল গতকাল।
২০২১ সালের পর প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া।
বুধবারের আলাপচারিতা শেষে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, ট্রাম্প জানিয়েছেন ন্যাটো জোট যেন যুদ্ধোত্তর ইউক্রেনকে সুরক্ষা দেওয়ার কোনো নিরাপত্তা নিশ্চয়তার অংশ না হয়। তবে তিনি এও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য ইচ্ছুক মিত্র দেশ যেন এই নিশ্চয়তার অংশ হয়।
এ বিষয়ে এক ইউরোপীয় কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ফোনালাপে ট্রাম্প ইউরোপের জন্য কিছু নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, যদিও সেগুলোর বিস্তারিত জানাননি।
ওই কর্মকর্তা বলেন, এটা বড় ধরনের অগ্রগতি মনে হয়েছে। তবে বাস্তবে এই নিশ্চয়তা কেমন হবে, তা পরিষ্কার নয়।
বুধবার ট্রাম্প হুমকি দেন, পুতিন যদি ইউক্রেনে শান্তিতে রাজি না হন তবে গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে, আর শুক্রবারের বৈঠক ব্যর্থ হলে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।