ইউক্রেন ও ইউরোপকে যেকোনো ধরনের ‘উসকানি’ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে রাশিয়া অঙ্গীকারবদ্ধ, তবে স্থায়ী সমঝোতার জন্য যুদ্ধের মূল কারণগুলো দূর করতে হবে।
আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রায় তিন ঘণ্টার বৈঠকের পর বাংলাদেশ সময় শনিবার সকালে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন পুতিন। সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
পুতিন আরও বলেন, ‘আমি আশা করি, আমরা যে সমঝোতায় পৌঁছেছি, তা ইউক্রেনে শান্তির পথে অগ্রসর হতে সহায়তা করবে।’ তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, ‘আমরা আশা করি কিয়েভ ও ইউরোপীয় দেশগুলো বিষয়টিকে গঠনমূলকভাবে নেবে, কোনো গোপন তৎপরতার মাধ্যমে উসকানি সৃষ্টি করে অগ্রগতিকে ব্যাহত করবে না।’
এদিকে বৈঠক শেষে ফক্স নিউজের সঙ্গে আলাপচারিতায় ট্রাম্প জানান, এখন সমঝোতা করার দায়িত্ব জেলেনস্কির, ইউরোপীয় দেশগুলোকেও এতে যুক্ত হতে হবে। তিনি আরও বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন শিগগিরই নতুন আলোচনা শুরু করবে, যেখানে পুতিন ও জেলেনস্কি উভয়েই উপস্থিত থাকবেন।
বৈঠক শেষে ট্রাম্প জানান, কিছু বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত বাকি আছে। তবে আমাদের আরও ‘অগ্রগতির খুব ভালো’ সম্ভাবনা রয়েছে।’ তিনি এটাও জানান, আলোচনা ফলপ্রসূ হলেও ‘চূড়ান্ত সমাধানে’র জন্য এখনো কাজ বাকি রয়েছে।
ট্রাম্প বক্তব্যের শেষের দিকে বলেন, তিনি ‘সম্ভবত’ আবার পুতিনের সঙ্গে দেখা করবেন। তখন পুতিন ইংরেজিতে উত্তর দেন, ‘পরবর্তী বার মস্কোতে’।
সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের জন্য ‘মূল কারণগুলো’ নিরসন করতে হবে। একটি স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য আমাদের এই সংঘাতের মূল কারণগুলো নিরসন করতে হবে।’
রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, তিনি আশা করছেন ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয়রা শান্তিপ্রক্রিয়ায় বাধা না দেওয়ার পথ বেছে নেবেন। তিনি ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান শুভকামনার জন্য এবং উল্লেখ করেন, উভয়পক্ষকেই ফলকেন্দ্রিক হওয়া উচিত।
পুতিন বলেন, ‘ট্রাম্প স্পষ্টভাবে তার দেশের সমৃদ্ধির দিকে মনোযোগী, তবে তিনি বুঝেছেন রাশিয়ারও নিজস্ব স্বার্থ রয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে পুতিন ট্রাম্পকে ‘প্রতিবেশী’ বলে সম্ভাষণ জানান। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া মহাসাগর দ্বারা আলাদা হলেও তারা খুব কাছের প্রতিবেশী। আলাস্কার ছোট একটি দ্বীপের সঙ্গে রাশিয়ার জলসীমার দূরত্ব মাত্র চার কিলোমিটার। আমরা অত্যন্ত কাছের প্রতিবেশী।’