ঢাকা বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫

মালিতে দুই গ্রামে সেনাবাহিনীর হামলা, নিহত ৩১

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৫, ১২:৪৯ পিএম
মালি সংঘাত। ছবি - সংগৃহীত

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) জানিয়েছে, মালির সামরিক বাহিনী ও মিত্র মিলিশিয়ারা চলতি বছরের অক্টোবর মাসে দেশের মধ্যবর্তী সেগো অঞ্চলের দুটি গ্রামে হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ৩১ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে। এই হামলায় কয়েকটি বাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথম হামলাটি ২ অক্টোবর কামোনা গ্রামে সংঘটিত হয়, যেখানে সেনাবাহিনী এবং ডোজো মিলিশিয়ারা কমপক্ষে ২১ জন পুরুষকে হত্যা করে এবং ১০টির বেশি বাড়ি ভস্মীভূত করে। দ্বিতীয় হামলাটি ১৩ অক্টোবর বালে গ্রামে ঘটে, যেখানে একজন মহিলা সহ ১০ জন নিহত হন।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নিহতদের মধ্যে অনেককে জামায়াত নুসরাত আল-ইসলাম ওয়া আল-মুসলিমিন (জেএনআইএম)-এর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার সন্দেহে হত্যা করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সৈন্যরা ও মিলিশিয়ারা গ্রামের মানুষের সঙ্গে কোন লড়াই ছাড়াই হামলা চালায়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা বলেন, সৈন্যরা কামোনায় পিকআপ ট্রাক এবং সাঁজোয়া যান ব্যবহার করে প্রবেশ করে এবং পুরুষদের ধরে হত্যা করে।

বালে গ্রামে হামলার সময়, ডোজো মিলিশিয়ারা মোটরসাইকেল যোগে সৈন্যদের সঙ্গে গ্রামে প্রবেশ করে এবং কমপক্ষে শতাধিক গরু চুরি করে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মালির কর্তৃপক্ষকে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে এবং আফ্রিকান ইউনিয়নকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার জন্য পদক্ষেপ নিতে বলেছে।

সংস্থার সিনিয়র গবেষক ইলারিয়া অ্যালেগ্রোজ্জি বলেছেন, ‘সেগো অঞ্চলের এই হত্যাকাণ্ড মালির সেনাবাহিনী ও মিত্র মিলিশিয়াদের দ্বারা সংঘটিত নৃশংসতার সর্বশেষ উদাহরণ। দায়ীদের বিচার করা অত্যন্ত জরুরি।’

মালি দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন ইসলামপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে আছে। ২০১২ সাল থেকে এই যুদ্ধে হাজার হাজার বেসামরিক নিহত হয়েছে এবং ৪ লাখ ২ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, সংঘাতের সমস্ত পক্ষ আন্তর্জাতিক মানবিক আইন এবং ১৯৪৯ সালের জেনেভা কনভেনশন মেনে চলার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

অ্যালেগ্রোজ্জি বলেন, ‘ইইউ শান্তি ও নিরাপত্তা পরিষদের উচিত মালিতে সংঘাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া। সকল পক্ষের দ্বারা নির্যাতনের জন্য জবাবদিহিতা জোরদার করার জন্য নিয়মিত ব্রিফিং করা, কূটনীতি জোরদার করা এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের সমন্বয় করা উচিত।,