দেশজুড়ে ধীরে ধীরে তৈরি হচ্ছে শীতের আমেজ। তবে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় এর প্রভাব পড়েছে সবচেয়ে আগে। উত্তর হিমালয় অঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত তৈরি হচ্ছে শীতের আবহ।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ৯টায় ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কয়েকদিন ধরেই সন্ধ্যার পর থেকে এই এলাকায় শীত অনুভূত হচ্ছে ও রাতভর হালকা কুয়াশায় ঢেকে থাকে গোটা এলাকা। তবে ভোরের দিকে সূর্য উদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কমে যায় ঠান্ডার অনুভূতি। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রোদের কারণে গরম অনুভূত হয়। কদিন ধরেই দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩০-৩১ ডিগ্রি।
এদিকে দিনে গরম এবং রাতে শীতের কারণে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে তিন শতাধিক রোগী শীতজনিত কাশি, সর্দি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। বিশেষ করে শিশু ও বেশি বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমনিয়া ও ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালের বিভিন্ন কক্ষে স্থান সংকুলান না হওয়ায় মেঝে বা বারান্দায় স্থান নিয়েছেন অনেক রোগী।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় এ জেলায় বরাবরই শীতের তীব্রতা অনেক বেশি। আজ বুধবার এ এলাকায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭২ শতাংশ। কয়েকদিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ থেকে ১৫ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। চলতি মাসের শেষের দিকে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

