সিলেট মহানগরীতে ফিল্মি কায়দায় এক মাদ্রাসাছাত্রকে অপহরণের চেষ্টার ঘটনায় এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে পশ্চিম লালদিঘীর পাড়ের নবাব রোডের মুখে এ ঘটনা ঘটে।
মাদ্রাসাছাত্র শেখ লাবীব বিন ফাহিম (৯) মদিনা মার্কেট এলাকার একটি মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র। ঘটনার সময় প্রাইভেটকার চালক মো. দেলোয়ার হোসেৎন তাকে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফিরিয়ে আনছিলেন। পথিমধ্যে ৬-৭ জন যুবক সিগন্যাল দিয়ে গাড়ি থামাতে বলেন। গাড়ি থামার সঙ্গে সঙ্গে তারা শিশুটিকে নামাতে চেষ্টা করে এবং কারণ জানতে চাইলে চালকের ওপর চড়াও হয়ে মারধর শুরু করে।
প্রত্যক্ষদর্শী দেলোয়ার হোসেন জানান, এক যুবক তার গলায় রামদা ধরে ভয়ভীতি দেখান এবং গাড়ির সামনের কাচ ভাঙচুর করেন। এরপর লাবীবকে সামনের সিট থেকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে অপহরণচেষ্টাকারীরা ব্যাটারিচালিত রিকশায় পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করে। এর ধারাবাহিকতায় বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে লালদিঘীর পাড়ের মাহমুদ ভিলার ৯ নম্বর বাসা থেকে হিসাম আহমদ (২০) নামে এক যুবককে আটক করে লামাবাজার ফাঁড়ির পুলিশ। তিনি ওই এলাকার আলিম মিয়ার ছেলে।
ভুক্তভোগী শিশুর বাবা ফাহিমুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিন আমি নিজেই ছেলেকে আনা-নেওয়া করি। আজ জরুরি কাজে যেতে না পারায় এ ঘটনা ঘটেছে। আমাদের কারো সঙ্গে কোনো বিরোধ নেই। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার ছেলেকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে এবং গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। আমরা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ‘অপহরণের ঘটনায় সন্দেহজনক একজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত চলছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’


