ঢাকা শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৫

নোয়াখালীতে ফুটবল খেলা নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত ১৮

নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২৫, ০৩:৩৩ পিএম
হাসপাতালে আহতরা। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের রামপুর ও মুছাপুর ইউনিয়নের মধ্যে মধ্যরাতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম। সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত বাঞ্চারাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে।

আহতরা হলেন: মুছাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. আরাফাত (২৫), মো. আশ্রাফ (১৮), মো. সিয়াম (২১), মো. ইমন (২০), মো. সাকিব (২০), মুন্না (১৮), মো. রাহাত (১৮), আরমান (২৩), সোহাগ (৩০), নুরউদ্দিন (৩৩) এবং রামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা জিহাদ (২৬), নভেল (২১), শাওন (২২), রাশেদ (২৭)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রামপুর ইউনিয়নের বাঞ্চারাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক স্মরণে দিবারাত্রি ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করে স্থানীয় বাঞ্চারাম স্পোর্টস সোসাইটি।

এই টুর্নামেন্টে অংশ নেয় পাশের মুছাপুর ইউনিয়নের মদিনা বাজার উদীয়মান তরুণ সংঘ। খেলার শুরুতেই মদিনা বাজার উদীয়মান তরুণ সংঘের সমর্থকরা রেফারি রাশেদকে বিতর্কিত দাবি করে প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন।

খেলার এক পর্যায়ে মাঠে একটি থ্রো ফাউলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ সময় দর্শক সারি থেকে মদিনা বাজার উদীয়মান সংঘের একজন সমর্থক মাঠে নেমে প্রতিবাদ করলে রেফারি রাশেদ তাকে চড় মারেন।

এরপর রামপুর ইউনিয়নের অল স্টার টিম ও মুছাপুর ইউনিয়নের মদিনা বাজার উদীয়মান তরুণ সংঘের লোকজনের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং সংঘর্ষে পরিণত হয়। এতে মুছাপুরের ১০ জন এবং রামপুরের ৮ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে দুইজন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং চারজন ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

কোম্পানীগঞ্জ থানার (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম জানান, ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষের বিষয়টি তারা শুনেছেন। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে দুই ইউনিয়নের লোকজন পাল্টাপাল্টি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।