দক্ষিণ জাপানের উপকূলীয় একটি শহরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৭০টিরও বেশি ভবন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বুধবার (১৯ নভেম্বর) দেশটির স্থানীয় দমকল বিভাগ জানিয়েছে, ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে একজনের মৃত্যুসহ আহত হয়েছেন আরও এক মহিলা।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে ওইতা শহরের সাগানোসেকি এলাকায় আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তে ভয়াবহ আগুনে শহরের ৪৮ হাজার ৯০০ বর্গমিটার এলাকা পুড়ে যায়, যা প্রায় সাতটি ফুটবল মাঠের সমান। ১৭৫ জন বাসিন্দাকে জরুরি আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে আনা হয়েছে।
আকাশ থেকে তোলা ভিডিওতে দেখা গেছে, পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত ঘরবাড়িগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং ধোঁয়ার গাঢ় কুণ্ডলী আকাশে উঠে যাচ্ছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, তীব্র বাতাসের কারণে আগুন কাছাকাছি বনাঞ্চলের ঢাল এবং উপকূল থেকে এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জনবসতিহীন একটি দ্বীপেও ছড়িয়ে পড়েছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী এক পোস্টে জানিয়েছেন, ‘ঘরে থাকা সব বাসিন্দার প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় সরকার সর্বোচ্চ সম্ভব সহায়তা প্রদান করবে।’
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ওইতা প্রশাসনিক অঞ্চলের গভর্নরের অনুরোধে সামরিক হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে। কিউশু ইলেকট্রিক পাওয়ারের তথ্য অনুযায়ী, অগ্নিকাণ্ডের কারণে জেলার প্রায় ৩০০টি বাড়িতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটেছে।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, একজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং ৫০ বছর বয়সী এক মহিলাকে হালকা পোড়ার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ এখনো তদন্তাধীন।
অগ্নিকাণ্ডের পরিসর ও ধ্বংসের মাত্রা এটিকে ১৯৭৬ সালের সাকাটার অগ্নিকাণ্ডের পর জাপানের সবচেয়ে বড় শহুরে অগ্নিকাণ্ডে পরিণত করেছে। এর আগে ২০১৬ সালে ইতোইগাওয়াতে অগ্নিকাণ্ডে ১৪৭টি ভবন পুড়ে যায়, তবে কেউ হতাহত হয়নি।


