রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠককে ‘১০-এর মধ্যে ১০’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমরা দারুণভাবে একসঙ্গে সময় কাটিয়েছি।’ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে। আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ফক্স নিউজের সঙ্গে আলাপচারিতায় এ কথা বলেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প জানান, এখন সমঝোতা করার দায়িত্ব জেলেনস্কির, ইউরোপীয় দেশগুলোকেও এতে যুক্ত হতে হবে। তিনি আরও বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন শিগগিরই নতুন আলোচনা শুরু করবে, যেখানে পুতিন ও জেলেনস্কি উভয়েই উপস্থিত থাকবেন।
এর আগে আলাস্কার এলমেনডর্ফ–রিচার্ডসন সামরিক ঘাঁটিতে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলে ট্রাম্প ও পুতিনের রুদ্ধদ্বার বৈঠক।
বৈঠক শেষে ট্রাম্প জানান, কিছু বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত বাকি আছে। তবে আমাদের আরও ‘অগ্রগতির খুব ভালো’ সম্ভাবনা রয়েছে।’ তিনি এটাও জানান, আলোচনা ফলপ্রসূ হলেও ‘চূড়ান্ত সমাধানে’র জন্য এখনো কাজ বাকি রয়েছে।
ট্রাম্প বক্তব্যের শেষের দিকে বলেন, তিনি ‘সম্ভবত’ আবার পুতিনের সঙ্গে দেখা করবেন। তখন পুতিন ইংরেজিতে উত্তর দেন, ‘পরবর্তী বার মস্কোতে’।
অন্যদিকে, সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের জন্য ‘মূল কারণগুলো’ নিরসন করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘একটি স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য আমাদের এই সংঘাতের মূল কারণগুলো নিরসন করতে হবে।’ তবে মূল কারণগুলো কী বোঝানো হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করেননি।
রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, তিনি আশা করছেন ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয়রা শান্তি প্রক্রিয়ায় বাধা না দেওয়ার পথ বেছে নেবেন। তিনি ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান শুভকামনার জন্য এবং উল্লেখ করেন, উভয়পক্ষকেই ফলকেন্দ্রিক হওয়া উচিত।
পুতিন বলেন, ‘ট্রাম্প স্পষ্টভাবে তার দেশের সমৃদ্ধির দিকে মনোযোগী, তবে তিনি বুঝেছেন রাশিয়ারও নিজস্ব স্বার্থ রয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে পুতিন ট্রাম্পকে ‘প্রতিবেশী’ বলে সম্ভাষণ জানান। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া মহাসাগর দ্বারা আলাদা হলেও তারা খুব কাছের প্রতিবেশী। আলাস্কার ছোট একটি দ্বীপের সঙ্গে রাশিয়ার জলসীমার দূরত্ব মাত্র চার কিলোমিটার। আমরা অত্যন্ত কাছের প্রতিবেশী।’