সিরাজগঞ্জের তাড়াশে এক স্কুলশিক্ষক দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ে করেছেন—এমন অভিযোগে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে শিক্ষকের প্রথম স্ত্রী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগকারী স্ত্রীও পেশায় একজন শিক্ষক।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তাড়াশ পৌর এলাকার শোলাপাড়া গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে ও রঘুনিলি মঙ্গলবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষক মনোয়ার হোসেন দীর্ঘদিন ধরে শোলাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া খাতুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। সাদিয়া তাড়াশ পৌর এলাকার খুটিগাছা গ্রামের মো. আব্দুস সালামের মেয়ে।
গত কয়েকদিন ধরে স্বামীর খোঁজ না পেয়ে প্রথম স্ত্রী শামীমা জাহান গোপনে খবর পেয়ে মঙ্গলবার খুটিগাছা তালপুকুরপাড়ে আব্দুস সালামের বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে তিনি স্বামী মনোয়ার হোসেন ও ছাত্রী সাদিয়াকে একই ঘরের বিছানায় অবস্থান করতে দেখেন।
বিষয়টি জানতে চাইলে মনোয়ার হোসেন ও সাদিয়ার পরিবারের সদস্যরা শামীমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে বের করে দেন।
অভিযোগে শামীমা জাহান জানান, আমার স্বামী চরিত্রহীন। এর আগেও তার স্কুলের এক ছাত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। আমি নিজেও একজন শিক্ষক। বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে—মানসম্মানের কথা ভেবে এতদিন চুপ ছিলাম। কিন্তু সব সহ্য করে আর পারিনি, তাই বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ করেছি। আমি সুষ্ঠু তদন্ত ও সঠিক বিচার চাই।
অভিযুক্ত শিক্ষক মনোয়ার হোসেনকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘আপনি তো নিউজ করেই ফেলেছেন, আপনাকে আর কী বলব?’
তাড়াশ থানার ওসি মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমি সারাদিন অফিসের কাজে বাইরে ছিলাম। বিষয়টি জেনে পরে জানাব।’
ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

-20251119221252.webp)

