ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৫

দুই ট্রলারে ২০০ মন ইলিশ, বিক্রি অর্ধ কোটি টাকায়

বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৫, ১১:০৭ পিএম
ধরা পড়া ২০০ মন ইলিশ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বঙ্গোপসাগরে এক টানে দুটি ট্রলারে ২০০ মন ইলিশ ধরা পড়েছে। এফবি সাফাওয়ান-১ ও এফবি রাইসা নামের ট্রলার দুটিতে ধরা মাছ বরগুনার পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে প্রকারভেদে বিভিন্ন দামে বিক্রি হয়ে মোট ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাওয়া গেছে।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকালে বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ‘সাইফ ফিশ’ নামের আড়তে এসব মাছ বিক্রি করা হয়। গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) কুয়াকাটা থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার গভীর সমুদ্রে মাছগুলো ধরা পড়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এফবি রাইসা ও এফবি সাফাওয়ান-১ নামের মাছ ধরার ট্রলার দুটি গত ১৪ নভেম্বর পাথরঘাটা থেকে জেলেদের নিয়ে সমুদ্রে যায়। এফবি রাইসা ট্রলারে ধরা পড়ে ১১০ মন ইলিশ, যা ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। এফবি সাফাওয়ান-১ ট্রলারে ধরা পড়ে ৯০ মন ইলিশ, যার বিক্রি মূল্য দাঁড়ায় ২৫ লাখ টাকা। তবে মাছগুলো আকারে তুলনামূলক ছোট।

এফবি রাইসা ট্রলারের মাঝি মাসুদ বলেন, ‘১৪ নভেম্বর আমরা সাগরে যাই। তিন-চার দিনে মাত্র ৪০০ পিস মাছ পাই। ১৭ নভেম্বর বিকেলে জাল ফেলে কিছুক্ষণ পর জাল তুলতেই দেখি ইলিশে ভরা। ওই এক টানেই আনুমানিক ১৮ হাজার ইলিশ ধরা পড়ে।’

সাফাওয়ান-১ ট্রলার সূত্রে জানা গেছে, ১৭ নভেম্বর বিকেলে জাল ফেললে ৯০ মন ইলিশ ওঠে। আজ মাছগুলো খোলা ডাকে বিক্রি করা হয়েছে।

পাথরঘাটা বিএফডিসির আড়তদার মোস্তফা আলম বলেন, ‘আমার আড়তে মাছগুলো বিক্রি হয়েছে। কিছুদিন আগে অন্য একটি ট্রলারে প্রায় ১৭০ মন মাছ বিক্রি করেছি। সাগরে এখন মাছ কম ধরা পড়ছে বলে জেলেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। তবে এবার ২০০ মন মাছ পাওয়ায় অনেকটা লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবে।’

বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘সাগরে আগের মতো মাছ না পাওয়া জেলেদের লোকসানে ফেলেছিল। এবার দুই ট্রলারে ২০০ মন ইলিশ পাওয়ায় জেলেদের হাসিমুখ দেখে আমরাও খুশি হয়েছি।’