নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’-এর পক্ষে লন্ডনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ থেকে শনিবার প্রায় ৪২৫ জনকে আটক করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। গত জুলাইয়ে সংগঠনটির কয়েকজন সদস্য রয়্যাল এয়ার ফোর্সের এক ঘাঁটিতে ঢুকে সামরিক বিমানে ভাঙচুর চালালে, ব্রিটেন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করা হয়। সংগঠনটির অভিযোগ, প্রতিরক্ষা খাতে ইসরায়েল-সম্পৃক্ত ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার গাজায় যুদ্ধাপরাধে সহযোগিতা করছে। গত কয়েক সপ্তাহে শত শত সমর্থককে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এর মধ্যে গত মাসে এক দিনেই ৫০০ জনের বেশি আটক হয়, যাদের অনেকে ছিলেন ষাটোর্ধ্ব। শনিবার পার্লামেন্ট ভবনের কাছে সমাবেশে শত শত মানুষ ‘আমি গণহত্যার বিরোধী, আমি প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের পক্ষে’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ করেন। লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, বিভিন্ন অভিযোগে আটককৃতদের মধ্যে অনেকে পুলিশকে আক্রমণ, কর্মকর্তাদের ঘুষি ও লাথি মারা, থুতু নিক্ষেপ এবং জিনিসপত্র ছোড়ার মতো কর্মকা-ে জড়িত ছিলেন।
প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের নিষেধাজ্ঞার ফলে সংগঠনটি এখন আল-কায়েদা ও আইএসের মতো তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সমপর্যায়ে এসেছে। ফলে সংগঠনটিকে সমর্থন বা এর সদস্য হওয়া অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদ- হতে পারে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ১০০ জনের বেশি ব্যক্তি কেবল সংগঠনটির প্রতি সমর্থন প্রদর্শনের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। পুলিশ আগেই সতর্ক করেছিল, বিক্ষোভে কেউ সংগঠনের পক্ষে অবস্থান নিলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই নিষেধাজ্ঞাকে ‘অতিরিক্ত পদক্ষেপ’ আখ্যা দিয়ে সমালোচনা করেছে।