ঢাকা বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

নেপালে আন্দোলন

প্রাণহানি, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিটি

ভিনদেশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৫, ১২:২৪ এএম

নেপালে চলতি মাসে হওয়া দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভে সহিংসতা ও নাশকতা তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিটি করেছে সুশীলা কার্কি নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। নেপালে চলতি মাসে হওয়া দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভে সহিংসতা ও নাশকতা তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিটি করেছে সুশীলা কার্কি নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। দেশটির অর্থমন্ত্রী রামেশ্বর খানাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি রয়টার্সকে বলেন, ‘বিক্ষোভ চলাকালে প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি, উভয় পক্ষের বাড়াবাড়ি এবং কারা অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরে জড়িত ছিল তা কমিটি খতিয়ে দেখবে।’

চলতি মাসে হিমালয়ের কোলঘেঁষা দেশটিতে দুর্নীতি, চাকরির সংকট ও অনিবন্ধিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের নিষেধাজ্ঞাকে ঘিরে ব্যাপক অসন্তোষ দানা বাঁধে। জেনারেশন জেড বা জেন-জি নামে পরিচিত তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বে শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দ্রুতই রূপ নেয় সহিংসতায়। বিক্ষোভকারীরা দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে সেøাগান তোলার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় স্থাপনা, আদালত ভবন ও বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেয়। রাজধানী কাঠমান্ডুতে বিক্ষোভ চলাকালে সুপ্রিম কোর্ট, পার্লামেন্ট ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাওয়ের পাশাপাশি আগুন দেওয়া সব মিলিয়েই বিস্ফোরণ ঘটেছে।

জেন-জি প্রজন্মের অংশগ্রহণে আন্দোলনটি দ্রুত সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, সহিংসতার দায় যাদের ওপর প্রমাণ হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ ও দাবি শোনার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী প্রশাসন। এদিকে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির মন্ত্রিসভায় নতুন করে আরও চারজন মন্ত্রী শপথ নিয়েছেন।

গতকাল রাজধানী কাঠমান্ডুর প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন শীতল নিবাসে এক অনুষ্ঠানে তাদের শপথ পড়ান প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেল। এ সময় প্রধানমন্ত্রী কার্কি, স্পিকার দেবরাজ ঘিমিরে ও জাতীয় পরিষদের চেয়ারম্যান নারায়ণ প্রসাদ দহল উপস্থিত ছিলেন। সাবেক সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি অনিল কুমার সিনহা শিল্প, আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেন। ন্যাশনাল ইনোভেশন সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা মহাবীর পুন শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। অভিজ্ঞ সাংবাদিক জগদীশ খারেল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

আর কৃষি ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান বিশেষজ্ঞ ড. মদন পরিয়ার। অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী কার্কির সুপারিশেই এসব নিয়োগ দেওয়া হয়। ফলে তার মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা দাঁড়াল আটে। তবে স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা মন্ত্রণালয়ের জন্য প্রস্তাবিত ড. সঙ্গীতা কৌশল মিশ্রাকে শেষ মুহূর্তে স্থগিত রাখা হয়েছে। তিনি সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশিলা কার্কির মন্ত্রিসভায় নতুন চার মন্ত্রী শপথ নিয়েছেন। এতে দেশটির মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো আটজনে। গত সোমবার রাষ্ট্রপতি ভবন শীতল নিবাসে নতুন মন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

জেন-জিদের নেতৃত্বে বিক্ষোভের মুখে কেপি শর্মা ওলির সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন সুশিলা কার্কি। এরপর থেকে ধাপে ধাপে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করছেন তিনি।রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাওডেল নবনিযুক্তদের শপথ করান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী কার্কি, স্পিকার দেবরাজ ঘিমিরে এবং জাতীয় পরিষদের চেয়ারম্যান নারায়ণ প্রসাদ দাহাল উপস্থিত ছিলেন।সাবেক সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি অনিল কুমার সিনহা শিল্প, আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। ন্যাশনাল ইনোভেশন সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা মহাবীর পুন শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেন।

অভিজ্ঞ সাংবাদিক জগদীশ খারেল যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। কৃষি ও পশুপালন উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন বিশেষজ্ঞ ড. মদন পরিয়ার।প্রধানমন্ত্রী কার্কির সুপারিশে এসব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা মন্ত্রণালয়ে ড. সঙ্গীতা কৌশল মিশ্রকে প্রস্তাব করা হলেও শেষ মুহূর্তে তার নাম স্থগিত রাখা হয়। সম্প্রতি তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।