এবার নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রকাশ্যে আনল ভারত। ‘অগ্নি-প্রাইম’ নামের এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে এবং তা সফলও হয়েছে। ২ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হানতে সক্ষম ভারতের নতুন এ ক্ষেপণাস্ত্রটি। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক লিখিত বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি একটি রেলভিত্তিক মোবাইল লঞ্চার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্রটি। রাজনাথ সিং বলেছেন, রেলভিত্তিক ক্যানিস্টারাইজড লঞ্চ সিস্টেমের মাধ্যমে চলন্ত ট্রেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটির উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। বিশ্বের অল্প কয়েকটি দেশে রয়েছে এই ক্যানিস্টারাইজড উৎক্ষেপণব্যবস্থা। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সর্বক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার ওপর জোর দেন। আমাদের এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্র তারই অংশ। দেশের প্রতিরক্ষা বিভাগ আত্মনির্ভরতার পথে অগ্রসর হচ্ছে। তিনি বলেন, অগ্নি-প্রাইম একটি পরবর্তী প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র, যা সর্বোচ্চ দুই হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এবং বিভিন্ন অ্যাডভান্সড ফিচারসমৃদ্ধ। এটিই ভারতের প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র, যা বিশেষ লঞ্চার সিস্টেম ব্যবহারের মাধ্যমে চলন্ত ট্রেন থেকেও নিক্ষেপ করা সম্ভব।
রাজনাথ সিং আরও বলেন, অগ্নি-প্রাইম ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুতের জন্য ডিআরডিও (ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সমরাস্ত্র নির্মাণ প্রতিষ্ঠান) স্ট্র্যাটেজিক ফোর্স কমান্ড এবং প্রতিরক্ষা বাহিনীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমাদের অস্ত্রভা-ারে এই ক্ষেপণাস্ত্র অনেক বড় একটি সংযোজন। ভারত সফলভাবে মাঝারি পাল্লার নতুন প্রজন্মের ‘অগ্নি-প্রাইম’ ক্ষেপণাস্ত্রের উড্ডয়ন পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। এটি প্রথমবারের মতো রেলভিত্তিক মোবাইল লঞ্চার সিস্টেম থেকে উৎক্ষেপণ করা হলো। সর্বোচ্চ ২ হাজার কিলোমিটার পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ।
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এক্স (সাবেক টুইটার)-এ বৃহস্পতিবার এক পোস্টে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘রেলভিত্তিক মোবাইল প্ল্যাটফর্ম থেকে এই উৎক্ষেপণ আমাদের কৌশলগত সক্ষমতাকে আরও এগিয়ে নিল।’ রেলভিত্তিক লঞ্চার ব্যবস্থার মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্র সহজে দেশের যেকোনো স্থানে সরিয়ে নেওয়া এবং কম সময়ে, কম দৃশ্যমান অবস্থায় উৎক্ষেপণ করা সম্ভব হবে। এর ফলে প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আরও গোপনীয় ও দ্রুতগতিসম্পন্ন হবে। এই অর্জনের মাধ্যমে ভারত বিশ্বের সেইসব দেশের কাতারে অন্তর্ভুক্ত হলো, যারা ক্যানিস্টারভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র রেলপথ থেকে উৎক্ষেপণের সক্ষমতা অর্জন করেছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই সাফল্যের জন্য ডিআরডিও, স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ড (এসএফসি) এবং সশস্ত্র বাহিনীর বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।