অল্প খরচে বিশ্বমানের ডিগ্রি, আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক পরিবেশ ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের কারণে মালয়েশিয়া এখন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অন্যতম পছন্দের গন্তব্য। দেশটি বর্তমানে এশিয়ার উচ্চশিক্ষার হাব হিসেবে পরিচিত। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের টুইনিং ও ট্রান্সফার প্রোগ্রাম মালয়েশিয়ায় চালু আছে, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা বা আমেরিকার ডিগ্রি খুব কম খরচে অর্জন করতে পারেন। তা বিস্তারিত জানাচ্ছেন গ্লোবাল অ্যাডমিশন ডেস্কের সিইও নুর নবী সৈকত।
কেন মালয়েশিয়া?
সাশ্রয়ী খরচে বিশ্বমানের শিক্ষা, ইংরেজি-মাধ্যমে পাঠদান, বহু সংস্কৃতির নিরাপদ ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ, স্টাডি গ্যাপ সমস্যা নয়, জব ও স্থায়ী হওয়ার সুযোগ।
কীভাবে আবেদন করবেন
শিক্ষার্থীদের পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রোগ্রাম নির্বাচন করে অনলাইনে আবেদন করতে হয়। জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- ওঘঞও ওহঃবৎহধঃরড়হধষ টহরাবৎংরঃু, অংরধ চধপরভরপ টহরাবৎংরঃু (অচট), ঞধুষড়ৎং টহরাবৎংরঃু, টঈঝও টহরাবৎংরঃু, ঝঊএর টহরাবৎংরঃু, খরসশড়শরিহম টহরাবৎংরঃু ড়ভ ঈৎবধঃরাব ঞবপযহড়ষড়মু ইত্যাদি।
আবেদনের জন্য প্রয়োজন হয়:
শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট, পাসপোর্ট কপি, পাসপোর্ট সাইজ ছবি, ইংরেজি দক্ষতার প্রমাণ (ওঊখঞঝ/গবফরঁস ড়ভ ওহংঃৎঁপঃরড়হ খবঃঃবৎ) স্কলারশিপ ও টিউশন ফি: মালয়েশিয়ার অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ই মেধাভিত্তিক স্কলারশিপ দিতে থাকে।
ব্যচেলর :
বছরে টিউশন ফি সাধারণত ৪ হাজার থেকে ৭ হাজার মার্কিন ডলার ও মাস্টার্স: ৫ হাজার থেকে ৮ হাজার মার্কিন ডলার। ভালো একাডেমিক রেজাল্ট থাকলে ২০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত স্কলারশিপ পাওয়া যায়।
জীবনযাপন ও খরচ:
মালয়েশিয়ায় জীবনযাত্রার খরচ তুলনামূলকভাবে কম। বাসস্থান বাবদ মাসে ১৫০-২৫০ ডলার এবং খাবার ও যাতায়াত বাবদ মাসে ১৫০-২০০ ডলার খরচ হতে পারে। মোট খরচ অনুমানিক মাসে প্রায় ৪০০-৫০০ ডলার। শিক্ষার্থীরা পার্ট-টাইম কাজ করে প্রতি মাসে ২০০-৩০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন (বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটির সময় বা নির্দিষ্ট অনুমতিতে)।
পরিবার নিয়ে যাওয়া:
মালয়েশিয়ায় মাস্টার্স বা পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা তাদের স্ত্রী ও সন্তানদের ডিপেনডেন্ট ভিসায় নিয়ে যেতে পারেন। সন্তানরা সরকার স্বীকৃত আন্তর্জাতিক বা স্থানীয় স্কুলে ভর্তি হতে পারে।
স্টাডি গ্যাপ ও ভিসা:
মালয়েশিয়ায় ৩ থেকে ১০ বছরের স্টাডি গ্যাপ কোনো বড় বাধা নয়, যদি আবেদনকারীর প্রোফাইল ও উদ্দেশ্য যৌক্তিকভাবে উপস্থাপন করা যায়। ভিসা প্রক্রিয়াও তুলনামূলক সহজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঙভভবৎ খবঃঃবৎ ও ঊগএঝ অঢ়ঢ়ৎড়াধষ পাওয়ার পর শিক্ষার্থী ঝঃঁফবহঃ চধংং-এর জন্য আবেদন করেন।
পড়াশোনা শেষে সুযোগ:
পড়াশোনা শেষে শিক্ষার্থীরা ইন্টার্নশিপ ও চাকরির সুযোগ পেতে পারেন। বিশেষ করে আইটি, হসপিটালিটি, ইঞ্জিনিয়ারিং, ব্যবসা প্রশাসন ও ডিজিটাল মিডিয়া সেক্টরে দক্ষ শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ ব্যাপক। মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক ডিগ্রি অর্জনের পর সহজেই অন্য দেশেও (যেমন যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া) উচ্চশিক্ষা বা ক্যারিয়ারের সুযোগ তৈরি হয়।
প্রয়োজনীয়তা:
ওঊখঞঝ স্কোর: সাধারণত ৫.৫ বা তার বেশি প্রয়োজন পড়বে। ন্যূনতম যোগ্যতা: এইচএসসি/ব্যাচেলর (যে প্রোগ্রামে আবেদন করবেন তার ওপর নির্ভর করে)
ফান্ডের প্রমাণ:
প্রাথমিক পর্যায়ে বড় ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রয়োজন হয় না, তবে কোর্স ফি দেওয়ার সক্ষমতা থাকতে হয়।
পরামর্শ:
মালয়েশিয়ায় পড়াশোনা করতে চাইলে নিজের লক্ষ্য অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রোগ্রাম বেছে নেওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন, স্কলারশিপ আবেদন ও ভিসা প্রসেসে সঠিক গাইডলাইন পেতে নির্ভরযোগ্য শিক্ষা পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেওয়া উচিত।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন