ঢাকা রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫

জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দ্রুত বিচারের অঙ্গীকার আইন উপদেষ্টার

শহিদুল ইসলাম রাজী
প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২৫, ০২:৪০ এএম

রাজধানীর পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগের খুনিচক্র নানা অপরাধমূলক কর্মকা-ে জড়িত ছিল। অবৈধ গোডাউন ও অবৈধ ব্যবসা থাকায় সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের আখড়ায় পরিণত ওই এলাকা। এর থেকে রক্ষা পায়নি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালও। খুনি চক্র ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অস্ত্র ও ইয়াবাকারবারসহ নানা অপরাধে জড়িত রয়েছে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র। 
হাসপাতালের এক ও তিন নম্বর ভবনের ভেতরেই সিন্ডিকেট গড়ে মিটফোর্ড এলাকার চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ করে আসছে চক্রটি। নৃশংস ওই হত্যাকা-ের পরে বেরিয়ে আসছে এসব চাঞ্চল্যকর ঘটনা। ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকা-ে গ্রেপ্তার তারেক রহমান রবিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া টিটন গাজী নামের আরেক আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। তবে এখনো মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছেন, পলাতক আসামিদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান চলছে। দোষিদের দ্রুত বিচারের অঙ্গীকার করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। হত্যার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
গত বুধবার সন্ধ্যায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে নিজ দোকান থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে। হত্যাকা-ের সময় ইট, রড ও কংক্রিট দিয়ে তাকে উপর্যুপরি আঘাত করে এবং শরীরের ওপর লাফিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। হত্যাকা-ের পরের দিন ঘটনার লোমহর্ষক ফুটেজ সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সাধারণের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। দেশজুড়ে ওঠে নিন্দার ঝড়।
হত্যাকা-ের ভিডিওতে দেখা যায়, মিটফোর্ডের ৩ নম্বর গেটের ভেতর থেকে প্রায় বস্ত্রহীন ও রক্তাক্ত এক যুবককে দুইজন টেনেহিঁচড়ে বের করে আনা হয়। এরপর গালে চড় মারছেন একজন। আরেকজনকে বুকের ওপর লাফাতে দেখা যায়। আরেকজন এসে প্রায় নিস্তেজ যুবকের মাথায় লাথি মারে এবং একপর্যায়ে পাশে থাকা কংক্রিট দিয়ে মাথায় আঘাত করে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, মিটফোর্ডকেন্দ্রিক একটি দালাল চক্র গড়ে উঠেছে। এদের কাছ থেকে কমিশন নেয় চক্রটি। এ ছাড়া ওই এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও মাদককারবারিসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকা-ে জড়িত রয়েছে সোহাগের খুনিরা। এদিকে পুলিশ চাঁদাবাজির আলামত না পেলেও সোহাগের ঘনিষ্ঠরা বলছেন, ঘটনার দুই দিন আগেও মাসে দুই লাখ টাকা ও ব্যবসার পার্টনারশিপ দাবি করেছিল মামলার দুই নম্বর আসামি টিটু। সোহাগ রাজি না হওয়ার এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেয় আসামিরা। এরপর তালা মারা হয় সোহাগের গোডাউনে। গোডাউনে তালা মারাকে কেন্দ্র করেই ঘটে নৃশংস হত্যার ঘটনা। 
জানা গেছে, গত ৭ জুলাই চাঁদার দাবিতে স্লোগান দিতে দিতে সারোয়ার হোসেন টিটুর নেতৃত্বে সোহাগের দোকানে প্রবেশ করে তার অনুসারীরা। এ সময় ভয়ে সিঁড়ির ওপরের দিকে দৌড়ে পালায় দোকানের কর্মচারীরা। তবে সোহাগ ছিল দোকানেই। প্রায় ১০ মিনিট সোহাগের সঙ্গে টাকা-পয়সা নিয়ে বিত-ায় জড়ায় টিটু। মাসে দুই লাখ টাকা ও ব্যবসার পার্টনারশিপের দাবি করলে সোহাগ দোকান থেকে বের হয়ে যায়। এরপরই দোকানের গোডাউনে তালা মারতে দেখা যায় টিটুকে। এর দুই দিন পর ৯ জুলাই নিজ দোকানের তালা ভেঙে ব্যবসা শুরু করেন সোহাগ। তখনই ঘটে সেই নৃশংস ঘটনা। কার অনুমতিতে তালা ভাঙা হয়েছে তা থেকেই ঘটনার শুরু, পরের ঘটনা পুরা দেশকেই কাঁপিয়ে দিয়েছে। তবে প্রাথমিক তদন্ত শেষে পুলিশ বলছে, চাঁদাবাজি নয় ব্যাবসায়িক দ্বন্দ্ব থেকেই ঘটনার সূত্রপাত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুরান ঢাকার এক ব্যবসায়ী বলেন, সেদিন আমরা ভয়ের কারণে এগুতে পারিনি। এ কথা মনে পড়লে অনুশোচনা হয়। আমরা চাই এমন নৃশংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন আর না ঘটে। চাঁদাবাজ আর সন্ত্রাসীদের যেন কঠোর শাস্তি হয়।’
হাসপাতালের ভেতরেই অস্ত্র ও ইয়াবার সিন্ডিকেট
মিটফোর্ড এলাকায় অবৈধ গোডাউন ও অবৈধ ব্যবসা থাকায় সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভেতরে। এক নম্বর ও তিন নম্বর ভবনের ভেতরেই সিন্ডিকেট গড়ে মিটফোর্ড এলাকার চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ। অস্ত্রের মজুদ ও ইয়াবাসহ মাদকের সিন্ডিকেট ওই দুই ভবনের ছাদ। নিয়মিত আড্ডা ও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকা-ের পরিকল্পনা করা হয় দুই ভবনের ছাদে বসেই। এর নিয়ন্ত্রক মাহিন, তারেক, রিপন, সাজ্জাদসহ শতাধিক সন্ত্রাসী। তারা সেখানে ইয়াবা, ফেনসিডিল ও গাঁজা সেবন করেন। এমনকি তারা মাদকের ডিলারও। মিটফোর্ড এলাকায় ফুটপাত থেকে চাঁদা তুলে ইসহাক ও পলাশসহ অন্য সন্ত্রাসীদের মধ্যে ভাগবাঁটোয়ারা চলে।

দালাল চক্রের কবলে মিটফোর্ড
সূত্র জানায়, মিটফোর্ড হাসপাতালে দেড় থেকে দুইশ দালাল আলাদাভাবে রোগীদের ফুসলিয়ে হাসপাতালের পাশে থাকা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায়। ওইসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মিটফোর্ড হাসপাতালের ডাক্তাররাই নিয়মিত রোগী দেখেন। এসব দালালদের নিয়ন্ত্রণ করে হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার বেলাল। তিনি নিজেই একটি প্রাইভেট হাসপাতালের অংশীদার। দালালদের সরদার সাজু জানান, আগে হাসপাতালের কর্মচারী নেতার কথামতো আল আরাফাত হাসপাতালে রোগী দিতাম। এখন ওয়ার্ড মাস্টার বেলালের প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স লাইফে রোগী পাঠাতে হয়।

হাসপাতাল ঘিরে ছিনতাইকারী চক্র
মিটফোর্ড হাসপাতালের পেছনে বেড়িবাঁধ রোড। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করেন কয়েক লাখ মানুষ। রাতে কিংবা দিনে সবসময়ই ছিনতাইকারী কবলে পড়ছে বিভিন্ন ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ। এসব ছিনতাইকারী ছিনতাইয়ের পর মিটফোর্ড হাসপাতালে ঢুকে পড়েন। আওয়ামী লীগ আমলে এসব ছিনতাইকারীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ ছিল হাসপাতালের কর্মচারী নেতা মোজাফফর হোসেন বাবুলের বিরুদ্ধে। বর্তমানে তাদের সহযোগিতা করে মহিন, রিপন, সিএনজি রনি ও সাজ্জাদ নামের যুবদল পরিচয়দানকারী কয়েকজন নেতা-কর্মী।

সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য
এলাকার প্রায় সব চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের আড্ডাখানা মিটফোর্ড হাসপাতালের ইমারজেন্সি ভবন ও নতুন ভবনের ছাঁদ। ওখানে তারা নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন করে থাকে। কিছুদিন আগে এ ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালক ছাঁদের চাবি নিয়ে নেন। পরে তারা আরেকটি  চাবি বানিয়ে নিয়মিত আড্ডা দিয়ে আসছে। এসব সন্ত্রাসীদের মধ্যে মহিন (সোহাগ হত্যার অন্যতম আসামি) তারেক (সেনাবাহিনীর কাছে অস্ত্রসহ আটক), রিপন, সিএনজি রনি ও যুবদলের সদস্য পরিচয়দানকারী মজনু গ্রুপের লোক। সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তারা ছাদে অবস্থান করে থাকেন। 
এদিকে, এসব অপরাধীদের রুখতে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা গতকাল শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদকসেবীদের রুখতে মিটফোর্ডের আশপাশের সব অবৈধ দোকানপাট বন্ধ ও পেছনের সব গেট বন্ধ না করলে শাটডাউন ঘোষণার দাবি জানালে তা মেনে নেয় কর্তৃপক্ষ।
মিটফোর্ড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম খান বলেন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা নানা অপরাধের বিষয়ে পেছনের গেট ও বহিরাগতদের অহেতুক আনাগোনা বন্ধের দাবি জানালে পেছনের গেটগুলো সাময়িক বন্ধ করে দেয়। 
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণে যুবদল পরিচয়দানকারি রফিকুল আলম মজনুর হয়ে বাবুবাজার ব্রিজের ওপর ও নিচ থেকে নিয়মিত চাঁদা তোলে সাজ্জাদ ও রনি। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের আমল থেকে ওই এলাকার প্রতিটি সিএনজি থেকে ৩০০ টাকা করে চাঁদা তুলত বেলাল ও ফারুক। সেই সময়ে তাদের পরিচয় ছিল শ্রমিক লীগের সদস্য। এখন তারা ভোল পাল্টে শ্রমিক দলের পরিচয় দিচ্ছেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। এ ছাড়া যুবদলের ইসহাক সরকারের হয়ে ওই এলাকায় চাঁদাবাজি করে তারেক ও রিপন। এই দুই সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি মিটফোর্ড সংলগ্ন বাসিন্দারা। 

রবিনের স্বীকারোক্তি, রিমান্ডে টিটন 
সোহাগ হত্যাকা-ে গ্রেপ্তার তারেক রহমান রবিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া টিটন গাজী নামের আরেক আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
গতকাল শনিবার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই মো. মনিরের আবেদনে ঢাকার মহানগর হাকিম হাসিব উল্লাহ গিয়াস রবিনের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই বিচারক টিটন গাজীর রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা রবিন ও টিটনকে আদালতে হাজির করেন। দুই দিনের রিমান্ড শেষে রবিন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই মনির। রবিন এই ঘটনায় পুলিশের করা অস্ত্র মামলার আসামি। আর টিটন গাজীকে সাত দিনের রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করেন আরেক তদন্ত কর্মকর্তা একই থানার ইন্সপেক্টর নাসির উদ্দিন।

জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। গতকাল শনিবার ঢাকা জেলার পুলিশ লাইনে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বিচার প্রক্রিয়া ধীরগতির দায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নয়। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করছে না। আমরা সবাইকে অনুরোধ করছি, কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়। কোনো ঘটনা ঘটলে সেটা যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেটার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
অনেকে অভিযোগ করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনো কঠোর হচ্ছে না। এমন অভিযোগের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর না হলে পাঁচজনকে কীভাবে গ্রেপ্তার করা হলো? অনেক সময় দু-এক জায়গায় হয়তো একটু দেরি হতে পারে। তবে এসব ঘটনায় আমরা সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশনে যাই।

দ্রুত বিচারের অঙ্গীকার আইন উপদেষ্টার
এদিকে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল গতকাল এক ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে অধীনে করা হবে। মিটফোর্ডের নারকীয় হত্যাকা-ের দ্রুত বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
পোস্টে তিনি বলেন, এই পাশবিক হত্যাকা-ের দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হবে। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন, ২০০২-এর ধারা ১০ এর অধীনে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারের ব্যবস্থা করা হবে।