ঢাকা রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫

দিনের শুরুতে যে ৭ কাজ আপনাকে ভালো রাখবে

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২৫, ০৫:২৫ এএম
ছবি- সংগৃহীত

সকালের শুরু যেমন হবে, অনেক সময়ই দিনের বাকি অংশও তেমনই কাটে। ঘুম ভাঙার পর যদি মানসিক প্রশান্তি ও ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে দিন শুরু করা যায়, তবে সারাদিনই কেটে যেতে পারে আনন্দময়ভাবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালের কিছু সহজ ও উপকারী অভ্যাস আপনাকে দিতে পারে মানসিক প্রশান্তি, শারীরিক শক্তি এবং সংগঠিত জীবনযাপন।

নিচে তুলে ধরা হলো, দিনের শুরুতে এমন ৭টি কাজ যা আপনাকে ভালো রাখতে সাহায্য করবে।

১. বিছানা গুছিয়ে নিন

ঘুম থেকে উঠে প্রথম কাজ হোক নিজের বিছানা পরিপাটি করে গুছিয়ে রাখা। দেখতে সহজ মনে হলেও, এই ছোট্ট অভ্যাসটি আপনার মনকে প্রশান্ত করে এবং দায়িত্বশীলতার অনুভূতি তৈরি করে। দিনের সফলতা শুরু হোক এখান থেকেই।

২. এক গ্লাস পানি পান করুন

বিছানা গুছানোর পরপরই এক গ্লাস পানি পান করুন। ঘুমের পর শরীর পানিশূন্য থাকে, এক গ্লাস পানি শরীরের টক্সিন বের করে দিতে সহায়তা করে এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোকে কর্মক্ষম করে তোলে। এটি মেটাবলিজমও বাড়ায়।

৩. সকালের হালকা ব্যায়াম

ব্যায়াম শুধু শরীর নয়, মনকেও চাঙা রাখে। জগিং, হাঁটা, যোগব্যায়াম বা হালকা স্ট্রেচিং— যেটা পারেন তাই করুন। এতে সারা দিনের কাজের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যম পাওয়া যাবে।

৪. দিনের কাজের তালিকা তৈরি করুন

সকালে সময় নিয়ে একটি টু-ডু লিস্ট বানিয়ে ফেলুন। কোন কাজগুলো করতে হবে, কোনটা আগে, কোনটা পরে— তা লিখে নিন। এতে সময় বাঁচবে এবং কাজের চাপও কমে যাবে।

৫. সকালে ফোন ঘাঁটা এড়িয়ে চলুন

অনেকেই ঘুম থেকে উঠে সঙ্গে সঙ্গে ফোন ব্যবহার শুরু করেন। এটি মনোযোগ হ্রাস করে এবং সময় অপচয় করে। জরুরি না হলে সকালে ফোন ব্যবহারে বিরতি দিন এবং নিজেকে সময় দিন।

৬. নিজেকে প্রস্তুত করুন

সকালেই গোসল, কাপড় পরা ও প্রস্তুতির কাজ শেষ করে ফেলুন। কাজের পূর্বে গুছিয়ে নেওয়া মন ও পরিবেশ আপনাকে সারা দিনের জন্য তৈরি করে তুলবে।

৭. স্বাস্থ্যকর সকালের নাস্তা করুন

সকালের খাবার হতে হবে পুষ্টিকর, স্বাস্থ্যকর ও পর্যাপ্ত। শুধু মুখরোচক নয়, দেহে শক্তি জোগাবে এমন খাবার নির্বাচন করুন। আগের রাতেই পরিকল্পনা করে নিতে পারেন পরদিন সকালের মেন্যু।

সকালের এই সাতটি সহজ কাজ যদি প্রতিদিনের অভ্যাসে পরিণত করা যায়, তবে শুধু দিন নয়— জীবনও বদলে যেতে পারে ধীরে ধীরে। সুস্থতা, মনোসংযোগ ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এই রুটিন মেনে চলাই হতে পারে প্রথম পদক্ষেপ।