ঢাকা রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫

লর্ডসে রুট-বুমরাহর কীর্তি

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২৫, ১০:১৬ এএম

ইংল্যান্ড ও ভারতের মধ্যকার চলমান লর্ডস টেস্টে রেকর্ড গড়েছেন জো রুট ও জাসপ্রিত বুমরাহ। রুটের সেঞ্চুরি এবং জেমি স্মিথ ও ব্রাইডন কার্সের ফিফটিতে ইংল্যান্ডের রান পৌঁছায় ৪০০-এর কাছে। এক ম্যাচ পর ফিরে আবার ৫ উইকেটের স্বাদ পেলেন জাসপ্রিত বুমরাহ। নিজের প্রথম ওভারে উইকেট নিয়ে প্রায় সাড়ে চার বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে ফেরার উপলক্ষ রাঙালেন জফ্রা আর্চার। টানা তৃতীয় টেস্টে ৫০ ছুঁয়ে ভারতকে লড়াইয়ে রাখলেন লোকেশ রাহুল। রুট-বুমরাহদের কীর্তির ম্যাচের দ্বিতীয় দিন ইংল্যান্ড অলআউট হয় ৩৮৭ রানে। গত শুক্রবারের খেলা শেষে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৪৫ রান। ২৪২ রানে পিছিয়ে থাকে সফরকারীরা।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির পর টেস্ট খেলতে নামা আর্চার ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে নিজের তৃতীয় বলে ফিরিয়ে দেন ইয়াশাসভি জয়সওয়ালকে। স্লিপে ক্যাচ দেন বাঁহাতি ওপেনার। শুরুর ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন রাহুল ও কারুন নায়ার। তবে আট বছর পর ফেরার সিরিজে আরেকবার থিতু হয়ে ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন কারুন (৬২ বলে ৪০)। বেন স্টোকসের বলে স্লিপে এক হাতে কারুনের দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে রাহুল দ্রাবিড়কে (২১০) ছাড়িয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ ক্যাচ নেওয়ার নতুন রেকর্ড গড়েন রুট (২১১)। আগের টেস্টে ৪৩০ রান করা শুভমান গিল এবার ফেরেন ১৬ রানেই। ক্রিস ওকসের বলে উইকেটের পেছনে দারুণ ক্যাচ নেন কিপার স্মিথ। এই ইনিংসের পথেই ভারতের অধিনায়ক হিসেবে ইংল্যান্ডে এক সিরিজে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড নিজের করে নেন গিল। ২০১৮ সালের সিরিজে বিরাট কোহলির ৫৯৩ রান ছাড়িয়ে চলতি সিরিজে গিলের রান এখন ৬০১। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে রাহুল ফিফটি করেন ৯৭ বলে। তার সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৩৮ রানের জুটিতে দিন শেষ করেন আগের দিন ফিল্ডিংয়ে আঙুলে চোট পাওয়া কিপার-ব্যাটসম্যান রিশাভ পান্ত। এর আগে প্রথম দিনের ৪ উইকেটে ২৫১ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের ব্যাটিং শুরু করে ইংল্যান্ড। আগের দিন ৯৯ রানে অপরাজিত রুট দিনের প্রথম বলেই বাউন্ডারিতে পৌঁছে যান কাক্সিক্ষত সেঞ্চুরিতে। তার ৩৭তম টেস্ট সেঞ্চুরি এটি। লর্ডসে টানা তিন ইনিংসে সেঞ্চুরি করলেন তিনি তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে। টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির তালিকায় এখন এককভাবে পাঁচ নম্বরে ইংল্যান্ডের সফলতম টেস্ট ব্যাটসম্যান। এরপর দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। আগের দিনের আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান স্টোকসকে দিনের তৃতীয় ওভারে চমৎকার ডেলিভারিতে বোল্ড করে ১৮৪ বলে স্থায়ী ৮৮ রানের জুটি ভাঙেন বুমরাহ। এই তারকা নিজের পরের ওভারে পরপর ২ বলে ফেরান রুট ও ওকসকে। ১০ চারে ১৯৯ বলে ১০৪ রান করেন রুট। ওই ধাক্কা সামলে অষ্টম উইকেটে ৮৪ রানের জুটিতে দলকে এগিয়ে নেন স্মিথ ও কার্স। এদিন ৩ রান করেই একটি রেকর্ডে নাম লেখান স্মিথ। ২১ ইনিংসে হাজার রানের মাইলফলক ছুঁলেন তিনি। টেস্টে উইকেটকিপার হিসেবে দ্রুততম এক হাজার রানের যৌথ রেকর্ড এটি। ২১ ইনিংসে রেকর্ডটি গড়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক। টানা তৃতীয় ইনিংসে ৫০ ছুঁয়ে ৬ চারে ৫৬ বলে ৫১ রান করেন স্মিথ। আগের টেস্টে তার ব্যাট থেকে এসেছিল অপরাজিত ১৮৪ ও ৮৮ রানের ইনিংস। আর্চারকে ফিরিয়ে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন বুমরাহ। কাপিল দেবকে (১২) ছাড়িয়ে ভারতের হয়ে দেশের বাইরে টেস্টে সবচেয়ে বেশিবার (১৩) ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড নিজে করে নেন ৩১ বছর বয়সি পেসার। ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি করে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন কার্স। ৮৩ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৫৬ রান করেন তিনি।