ঢাকা রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫

গোপনে শিশুর ক্ষতি করছে যে ৫ খাবার

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২৫, ০৬:২৭ এএম
ছবি- সংগৃহীত

শিশুর সুস্থ বিকাশে খাদ্যাভ্যাসের গুরুত্ব অপরিসীম। সঠিক পুষ্টি না পেলে ভবিষ্যতে নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক জটিলতা দেখা দিতে পারে।

অথচ অনেক সময় বাবা-মা নিজের অজান্তেই এমন কিছু খাবার শিশুকে দিচ্ছেন, যা রঙিন প্যাকেট, চটকদার বিজ্ঞাপন আর সহজলভ্যতার আড়ালে শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নিচের পাঁচটি খাবার দীর্ঘমেয়াদে শিশুর শরীর ও মস্তিষ্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে:-

১. ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল ও চিনিযুক্ত পানীয়

রঙিন ও মিষ্টি সিরিয়াল দেখতে আকর্ষণীয় হলেও এতে থাকা চিনি ও কৃত্রিম রং শিশুদের ওজন বাড়ানো এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য নষ্ট করার জন্য দায়ী। পাশাপাশি, বাজারের কোল্ড ড্রিংকস বা ফ্লেভারড জুসে কোনো পুষ্টিগুণ থাকে না—শুধু ফাঁকা ক্যালোরি। এতে করে শিশুর শক্তি কমে যায় এবং দাঁতের ক্ষয়সহ অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়।

২. স্বাদযুক্ত দই

স্বাদযুক্ত দইকে প্রোটিনসমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে অনেকেই বিবেচনা করেন। কিন্তু এতে থাকা চিনি, কৃত্রিম রং ও ফ্লেভার শিশুদের দাঁতের সমস্যা, স্থূলতা এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। এর পরিবর্তে টক দইয়ের সঙ্গে মধু ও ফল মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে।

৩. মাইক্রোওয়েভ পপকর্ন

দোকান থেকে কেনা প্যাকেটজাত মাইক্রোওয়েভ পপকর্নে থাকে PFAS নামের রাসায়নিক, যাকে “ফরেভার কেমিক্যাল” বলা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, PFAS শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায় এবং বিকাশে ব্যাঘাত ঘটায়। এর পরিবর্তে বাড়িতে তৈরি পপকর্ন শিশুর জন্য নিরাপদ।

৪. প্রক্রিয়াজাত মাংস

হটডগ, সসেজ, ডেলি মিটসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত মাংসে থাকে উচ্চমাত্রার সোডিয়াম, প্রিজারভেটিভ ও নাইট্রেট। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এগুলোকে “গ্রুপ ১ কার্সিনোজেন” হিসেবে চিহ্নিত করেছে, যা শিশুর ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায় এবং রক্তচাপজনিত সমস্যাও তৈরি করতে পারে।

৫. ডিপ ফ্রাইড খাবার

চিপস, ফ্রাই, চিকেন নাগেট—শিশুরা এসব ভাজা খাবারে খুব সহজেই আসক্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু এতে থাকা ট্রান্স ফ্যাট হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়, কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং শরীরের ক্ষতি করে। এর বিকল্প হিসেবে বেকিং বা এয়ার ফ্রাই করে ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস দেওয়া যেতে পারে।

বাচ্চাদের খাবার বাছাইয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। বাজারে সহজলভ্য ও বাহারি প্যাকেটজাত খাবার যতই আকর্ষণীয় হোক, সেগুলোর গঠন ও উপাদান ভালোভাবে দেখে তবেই শিশুদের দিতে হবে। অভ্যাস গড়ার সময়ই স্বাস্থ্যবিধি শেখানো সবচেয়ে জরুরি।