প্রতিপক্ষ বদলায়, মাঠ বদলায় কিন্তু বদলায় না লিওনেল মেসির ভয়ংকর ছন্দ। বয়স ৩৮ ছুঁয়েছে, কিন্তু মাঠে তার পারফরম্যান্সে বয়সের ছিটেফোঁটাও নেই। বরং মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) যেন আরও বেশি ধারালো হয়ে উঠেছেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। একের পর এক ম্যাচে জোড়া গোল করে রীতিমতো ইতিহাস লিখছেন মেসি।
সর্বশেষ ৪ ম্যাচে জোড়া গোলের পর রোববার (১৩ জুলাই) ন্যাশভিলে এসসির বিপক্ষেও জোড়া গোল করেছেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। এর আগে গত ম্যাচে টানা চার ম্যাচে একাধিক গোলের নজির গড়ে ইতিহাসে প্রথম হয়েছিলেন, এবার সেই সংখ্যা বাড়িয়ে নিলেন পাঁচে।
এ ছাড়া ফ্রি-কিকে করা গোলেও নতুন রেকর্ড গড়েছেন আলবিসেলেস্তে তারকা। তিনি এখন ফ্রি-কিকে চতুর্থ সর্বোচ্চ ৬৯টি গোলের মালিক। পেছনে ফেলেছেন ব্রাজিলের মার্কোস আসুনসিওকে (৬৮)। মেসির সামনে এখন শুধু রয়েছেন জুনিনিও (৭২), রবার্তো দিনামাইট (৭৫) ও মার্সেলিনো কারিওকা (৭৮)।
এই পাঁচ ম্যাচে মেসি প্রতিপক্ষ ছিল মন্ট্রিয়েল (দুবার), কলম্বাস ক্রু, নিউ ইংল্যান্ড রেভল্যুশন ও সর্বশেষ ন্যাশভিল এসসি। আজ ভোরে চেজ স্টেডিয়ামে ন্যাশভিলের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছে ইন্টার মিয়ামি-ম্যাচজয়ী নায়ক মেসিই।
প্রথম গোলটি আসে ১৭ মিনিটে, নিচু ফ্রি-কিক শটে প্রতিপক্ষের ডিফেন্স ভেদ করেন তিনি। মেসির দ্বিতীয় গোলটি আসে দ্বিতীয়ার্ধে, ম্যাচের ৬২তম মিনিটে। ন্যাশভিল গোলকিপার জো উইলিসের একটি ভুল পাসেই বল পেয়ে যান মেসি, যা থেকে সহজেই গোল করেন তিনি।
ন্যাশভিল অবশ্য একটি গোল শোধ দেয় ম্যাচের ৪৯তম মিনিটে, হ্যানি মুখতারের পা থেকে। তবে শেষ পর্যন্ত জয় নিশ্চিত করে ইন্টার মিয়ামি। এই জয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সে ৫ নম্বরে উঠে এসেছে দলটি, ১৯ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৩৮ পয়েন্ট। শীর্ষে থাকা ফিলাডেলফিয়ার পয়েন্ট ৪৩, তবে তারা খেলেছে ২২টি ম্যাচ।
এ নিয়ে চলতি মৌসুমে ১৬ ম্যাচে মেসির গোলসংখ্যা দাঁড়াল ১৫টিতে, অ্যাসিস্ট করেছেন আরও ৬ গোলে। সবমিলে ২১ গোলে সরাসরি অবদান রেখেছেন তিনি। ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে মিয়ামিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে ক্লাবটির হয়ে ৬৬ ম্যাচে করেছেন ৫৫টি গোল। ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে তার মোট গোলসংখ্যা এখন ৮৭২।