ঢাকা রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫

জাতীয় দলের কোচিং স্টাফ নিয়ে বিসিবিতে তোলপাড়

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০২৫, ০৭:৪৬ পিএম
জাতীয় দলের কোচ ফিল সিমন্স ও মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। ছবি- সংগৃহীত

জাতীয় দলের কোচিং স্টাফের সুসম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে খণ্ডকালীন মেয়াদে। এখন সময় তাদের কাছ থেকে পারফরম্যান্স বুঝে নেওয়ার। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্তারা হিসাব মেলাতে পারছেন না।

ফিল সিমন্স এবং মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের অধীনে জাতীয় দলের এমন বাজে পারফরম্যান্সের কারণ খুঁজে পেতে হিমশিম খাচ্ছেন পরিচালকরা।

বিশেষ করে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি২০ ম্যাচে চারজন ওপেনার খেলানোর মতো বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পেছনে কার হাত ছিল, তা নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা।

দলের কার্যক্রমে কার সিদ্ধান্ত প্রধান্য পাচ্ছে, তা নিয়েও বিসিবি কর্মকর্তারা গোলকধাঁধায় পড়েছেন।

সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়

বিসিবি সূত্রমতে, জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগের একগাদা ফাইল জমা পড়েছে। গুঞ্জন রয়েছে যে একাদশ নির্বাচন এবং ক্রিকেটারদের রোল ঠিক করে দেওয়ায় তার ভূমিকাই বেশি।

ঢাকা থেকে একজন বিসিবি পরিচালক জানিয়েছেন, সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের মতো গুরুতর অভিযোগও ক্রিকেটারদের কাছ থেকে তারা পেয়েছেন।

যদিও ক্রিকেটার এবং কোচিং স্টাফের সঙ্গে কথা বলে এখনো এই অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।

তবে বিসিবির বাইরে জোর গুঞ্জন আছে যে, জাতীয় দলের কার্যক্রম মূলত সালাউদ্দিনের কথাতেই পরিচালিত হয় এবং প্রধান কোচ ফিল সিমন্স অনেকটাই উপদেষ্টা কোচের ভূমিকা পালন করছেন।

অনুশীলন ও ম্যাচ চলাকালে সালাউদ্দিনের তৎপরতা দেখে অনেকে এই বিষয়টি বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন। নির্বাচক প্যানেলের দেওয়া ১৬ জনের স্কোয়াড এবং একাদশ নির্বাচনেও তার জোরালো ভূমিকা থাকে বলে বোর্ডের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম এই কোচিং স্টাফের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

আরব আমিরাত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা সফরে জাতীয় দলের ব্যর্থতায় সালাউদ্দিনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও নাজমুল আবেদীন তা মানতে নারাজ।

তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, প্রধান কোচের ভূমিকা কম থাকার কারণ নেই। একাদশ নির্বাচন করেন প্রধান কোচ এবং অধিনায়ক। নির্বাচকের সঙ্গেও কথা বলেন তারা।

যে অভিযোগের কথা বলা হচ্ছে, আমি মনে করি না তা সঠিক। তেমন কিছু হওয়ার সুযোগ নেই। প্রধান কোচই দল পরিচালনার সব সিদ্ধান্ত নেন। বাকি কোচিং স্টাফরা সমন্বয় করে প্রধান কোচকে সহযোগিতা করেন।