পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট দুর্নীতির তিন মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে বাদীরা সাক্ষ্য দিয়েছেন। গতকাল সোমবার দেড় ঘণ্টায় তিনজনের জবানবন্দি নথিবদ্ধ করেন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সাক্ষ্য দেওয়া ব্যক্তিরা হলেন শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন, পুতুলসহ ১৮ জনের মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া এবং জয়সহ ১৭ জনের মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান। এ তিন মামলাতেই আসামি হিসেবে আছেন শেখ হাসিনা।
এদিন বেলা ১১টা ৪৩ মিনিটের দিকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথমে সাক্ষ্য দেন সালাহউদ্দিন, এরপর সাক্ষ্য দেন কেয়া এবং সবশেষে রাশেদুল হাসান জবানবন্দি দেন। দুপুর সোয়া ১টার দিকে তাদের সাক্ষ্য শেষ হয়। মামলার সব আসামি পলাতক থাকায় তাদের আইনজীবীরা সাক্ষীদের জেরা করার সুযোগ পাননি। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৬ আগস্ট দিন ঠিক করেছেন আদালত। ওইদিন সাক্ষ্য দিতে তিন মামলায় ১৫ জনকে সমন পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের কৌঁসুলি মুহাম্মদ সুলতান মাহমুদ।
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ৬ প্লট দুর্নীতির মামলায় গত ৩১ জুলাই ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার সঙ্গে তাদের সন্তানসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার দুই বিশেষ জজ আদালত। এর মধ্যে তিন মামলায় শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১১ আগস্ট দিন ঠিক করে দেন বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন।
বাকি তিন মামলায় শেখ রেহেনা, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক রবিউল আলম ১৩ আগস্ট দিন ঠিক করে দেন।
শেখ পরিবারের বাইরে যে ১৬ জন আসামির তালিকায় রয়েছেন, তারা হলেন জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সদস্য সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।