ঢাকা বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

কালিয়াকৈর ইউএনও কাউছার আহাম্মেদ আট মাস আগে বদলি, হলেও স্বপদে বহাল!

জহিরুল ইসলাম, গাজীপুর
প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২৫, ০৬:৩৬ এএম
কালিয়াকৈর ইউএনও কাউছার

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাউছার আহাম্মেদ। তাকে আট মাস আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বদলি করার পর সেই বদলির আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তিনি স্বপদে বহাল আছেন। পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছেন পৌরসভার প্রশাসক হিসেবেও।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কাউছার আহাম্মেদ কালিয়াকৈরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি গাজীপুর জেলা প্রশাসনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

বিসিএস ৩৫ ব্যাচের এই কর্মকর্তা ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। সেই সুবাদে গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে পোস্টিং পান। গত আগস্টে আওয়ামী সরকারের পতনের পর সুর পাল্টে এখন তিনি স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে আছেন বহাল তবিয়তে। অথচ জুলাই আন্দোলনের সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে তার ভূমিকা ছিল ছাত্রজনতার বিরুদ্ধে।

গত ২৮ অক্টোবর ২০২৪ সালে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের মাঠ প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী সচিব সাগুফতা হক স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে (বদলির) তাকে ফরিদপুরের মধুখালীতে বদলি করা হয়। কালিয়াকৈরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে পদায়ন করা হয় নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এ মুহাইমিন আল জিহানকে।

তবে অদৃশ্য কারণে সেই আদেশ বাস্তবায়িত হয়নি। তিনি স্বপদেই বহাল থাকেন।

এক মাস পর অর্থাৎ, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ থেকে প্রজ্ঞাপনে তাকে পুনরায় বদলি করে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে ন্যস্ত করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বদলির আদেশের পত্রে ৯/১২/২০২৪ইং তারিখে তিনি (কাউছার আহাম্মেদ) কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত হবেন বলে উল্লেখ করা হয়।  অন্যথায় ওই দিনই অপরাহ্নে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত অর্থাৎ, স্ট্যান্ড রিলিজ হবেন।

বদলির আট মাস পরেও তিনি বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে কালিয়াকৈরে কর্মরত আছেন। স্থানীয়রা বলছেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দীর্ঘ আট মাস যাবৎ তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, নিশ্চয়ই তিনি দোর্দ- ক্ষমতাধর। তা না হলে নজিরবিহীন এই কা- সম্ভব নয়।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাউছার আহাম্মেদের সঙ্গে তার ব্যবহৃত সরকারি মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি। পরে হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ দিলেও তিনি উত্তর দেননি।