নির্বাচনের মাধ্যমে জবাবদিহি সরকার গঠন না হলে গণতন্ত্র ঝুঁকিমুক্ত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, অশুভ শক্তির তৎপরতা ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে ও নানা রকম ষড়যন্ত্রের জাল বোনা শুরু হয়েছে। কিছু দল তাদের দলীয় স্বার্থ চরিতার্থ করতে পরিকল্পিত উপায়ে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে নানা শর্ত দিচ্ছে। তবে পতিত স্বৈরাচার সুযোগের অপেক্ষায়। তাই সময় থাকতে সতর্ক হওয়ারও তাগিদ দেন তিনি। গতকাল রোববার বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশের নানা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়েই ৪৭ বছরের পথচলা বিএনপির। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব আর সংঘাতে দলটির পথচলা সহজ হয়নি। ক্ষমতায় থেকে বিরোধী দলে দুই ভূমিকাতেই দলটিকে মোকাবিলা করতে হয়েছে গুম-খুন, মামলা-হামলার চ্যালেঞ্জ। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় নেতাদের বক্তব্যে এলো সেই প্রসঙ্গই। তারেক রহমান বলেন, যতবারই দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়েছে, বিএনপির নেতৃত্বেই তা আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
জনগণই বিএনপির ক্ষমতার উৎস উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, বিএনপিই সবচেয়ে বিশ্বস্ত রাজনৈতিক দল। এখন জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ এসেছে, যার প্রধান উপায় নির্বাচন। যতক্ষণ জবাবদিহি সরকার প্রতিষ্ঠা না হবে, ততক্ষণ গণতন্ত্র মুক্ত নয়।
তিনি আরও বলেন, অদৃশ্য শক্তির কাজ সম্প্রতি দৃশ্যমান হচ্ছে। পতিত স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশ যখন নির্বাচনের পথে হাঁটছে, তখন কিছু দল নানা শর্ত দিয়ে পরিকল্পিত উপায়ে নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করছে।
সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংস্কারের গুরুত্ব আছে বলেই ৩১ দফা ঘোষণার পরও সরকারকে সহযোগিতা করে আসছে বিএনপি। সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে, তবে জনগণের অধিকারে বাধা সৃষ্টি করে সংস্কার টেকশই হবে না। অন্তর্বর্তী সরকার যত দিন ক্ষমতায থাকবে, তাদের দুর্বলতা তত সামনে আসবে বলেও মন্তব্য করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।
তিনি বলেন, নুরের ওপর হামলার ঘটনায় স্পষ্ট, দেশের স্থিতিশীলতা জটিল করে তোলা হচ্ছে। এখনো সময় আছে, সতর্ক হওয়া দরকার। পরাজিত শক্তি সুযোগের অপেক্ষায়। বিএনপি মনে করে রাজনীতি মানে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি নয়, নিরাপদ দেশ নির্মাণ মন্তব্য করে তিনি বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে দায়বদ্ধ সরকার গঠন করে রাজনৈতিক সংকটের সমাধান খোঁজা উচিত।