কুমিল্লায় মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে ১৮ মামলার আসামি মহরম হোসেন নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত শনিবার রাত ৮টার দিকে নগরের কাটাবিল এলাকার মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। মহরম হোসেন কুমিল্লা নগরের মুরাদপুর এলাকার চারু মিয়ার ছেলে। তিনি শ্বশুরবাড়ি কাটাবিল এলাকায় ভাড়া থাকতেন। তাঁর স্ত্রীর নাম শারমিন আক্তার। এ দম্পতির ১১ বছরের মেয়ে ও ৭ বছরের ছেলে আছে।
পুলিশ জানায়, নিহত মহরম হোসেনের (৩৫) বিরুদ্ধে মাদক, হত্যা, চাঁদাবাজিসহ অপরাধমূলক কর্মকা-ের অন্তত ১৮টি মামলা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মাদক কারবার নিয়ে দ্বন্দ্বে এ হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মহরম ও তার বন্ধু অপু শনিবার রাতে একটি মোটরসাইকেলে করে পাশের পাথুরিয়াপাড়ায় যাচ্ছিলেন। রাত ৮টার দিকে কাটাবিল মসজিদের সামনে কয়েকজন দুর্বৃত্ত হঠাৎ তাদের ওপর হামলা চালায়। অপুকে মোটরসাইকেল থেকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয় মহরমকে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অপু বলেন, কাটাবিল মসজিদের সামনে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় মোটরসাইকেল থেকে তাকে ধরে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে দেয় তারা। চালকের আসনে থাকা অবস্থায় মহরমকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। সেখান থেকে পাশের একটি দোকানে নিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়।
হত্যাকাণ্ডে বিষয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, কী কারণে এবং কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সেটি জানা যায়নি। জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। তবে নিহত যুবকের বিরুদ্ধে হত্যাকা-, চাঁদাবাজি, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৮টি মামলা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, মাদক কারবারসংক্রান্ত দ্বন্দ্বে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে। হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধরার চেষ্টা করছে পুলিশ। এ ছাড়া ঘটনার পেছনের কারণ সম্পর্কে জানতে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে।