চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) স্থানীয় সন্ত্রাসী দ্বারা শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ করেছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।
রোববার (৩১ আগস্ট) বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে শুরু হয়ে ছাত্রহলসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘সন্ত্রাসীদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশন’, ‘সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে, লড়াই হবে একসঙ্গে’, ‘এক দুই তিন চার, সন্ত্রাসী তুই বাংলা ছাড়’- স্লোগান দিতে থাকেন।
এ সময় ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. তপু ইসলাম বলেন, আমরা চবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সন্ত্রাসী হামলার সম্পূর্ণ দায়ভার অন্তর্বর্তী সরকারকে নিতে হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই সরকার যদি কোনো দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ না নেয়, তবে আমরা ছাত্র-সমাজ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলব।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী সামিউল আলিম বলেন, অন্তবর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলতে চাই, জুলাই আন্দোলনের অন্যতম পটভূমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আজকের হামলায় জড়িত সকলের বিচার করতে হবে। আমাদের রক্তের ওপর দিয়ে আপনি সরকারে বসেছেন, যদি বিচার না করেন তাহলে আপনার বিরুদ্ধেও আমরা দাঁড়াব। আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হামলার মুখে রেখেছিলেন কেন তার জবাবদিহিতা করতে হবে।
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রক্তের বিনিময়েই আজ আপনারা ক্ষমতার মসনদে বসে আছেন কিন্তু আজ সেই শিক্ষার্থীরাই অবহেলা ও নিষ্ক্রিয়তার শিকার। এমন পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসীগোষ্ঠী সুযোগ নিয়ে আবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। আজ চট্টগ্রামে রক্ত ঝরেছে, কাল হয়তো যবিপ্রবিতে ঝড়বে। যদি পুলিশ ও সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়, তবে দেশের কেউই নিরাপদ নয়।
উল্লেখ্য, ৩০ আগস্ট একটি মেসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীর গায়ে দারোয়ান কর্তৃক হাত তোলা নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ শুরু হয়।