ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশিত খাবারের টোকেন মূল্যের অযৌক্তিক বৈষম্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জালাল উদ্দীনের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ, সদস্য রাফিজ আহমেদ, নুর উদ্দিন, কর্মী রাকিব হাসান স্বাক্ষর ও আলামিন হোসেন।
স্মারকলিপিতে তারা বলেন, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা রাখা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
তবে আমরা গভীর দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে এবারের বিজয় দিবসের খাদ্য পরিবেশনে আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন টোকেন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আমাদের দৃষ্টিতে বৈষম্যমূলক এবং অযৌক্তিক।
একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই দিবসের কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের ভাগ করে এমন পৃথক মূল্য নির্ধারণ আমাদের ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী পরিচয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
তারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থী সমভাবে এই প্রতিষ্ঠানের অংশ, সে আবাসিক হোক কিংবা অনাবাসিক। অধিকার ও মর্যাদায় সবাই সমান। ধর্মীয়, রাজনৈতিক কিংবা আবাসিক-অনাবাসিক পরিচয়ের ভিত্তিতে মূল্য ভিন্নকরণ সামাজিক বৈষম্য তৈরি করে এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে অপ্রয়োজনীয় বিভাজন সৃষ্টি করে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
এসময় প্রশাসনের কাছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ২ দফা দাবি জানায়। দাবিগুলো হলো— নির্ধারিত খাবারের টোকেন মূল্য একীভূত করে সকল শিক্ষার্থীর জন্য সমান মূল্য নির্ধারণ করা।
ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকারি বা জাতীয় অনুষ্ঠানে খাদ্য, উপহার বা সুবিধা প্রদান ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বৈষম্যমূলক নীতি অনুসরণ করা যাবে না।
ছাত্রদলের নেতারা আশা প্রকাশ করেন, স্মারকলিপি প্রদান করার পর হল প্রশাসন অবিলম্বে টোকেন মূল্য একীভূত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের ঐক্য ও ন্যায়বোধ রক্ষায় দ্রুত উদ্যোগ নেবে।
এর আগে, বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করে আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য ৬০ টাকা এবং অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য ১০০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে লালন শাহ হল প্রশাসন। বিজ্ঞপ্তির ছবি ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়।


