বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সেলিম আহমেদ ও এফ এ শাহেদ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫, ০৬:১৮ এএম

ইতিহাসের পথে ছাত্রশিবির

সেলিম আহমেদ ও এফ এ শাহেদ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫, ০৬:১৮ এএম

সাদিক কায়েম ও এস এম ফরহাদ। ছবি- সংগৃহীত

সাদিক কায়েম ও এস এম ফরহাদ। ছবি- সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের নির্বাচনে ইতিহাস গড়ার পথে রয়েছে ছাত্রশিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। রাত ৪টা পর্যন্ত সাত হলের ফলাফলে ডাকসু নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে ভিপি পদে দলটির সাদিক কায়েম, জিএস পদে এস এম ফরহাদ, এজিএস পদে মহিউদ্দিন খান এগিয়ে ছিলেন। তবে ছাত্রদল ভোট গণনায় পিছিয়ে থাকলেও জিএস পদে ছাত্র ইউনিয়নের মেঘমল্লার বসু কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন। এই তিন পদের মতো ডাকসুর ২৮টি পদে শিবির সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। এদিকে ফল ঘোষণা শুরুর পর ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়নসহ অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ভোট বর্জন করেছেন।  

সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৭ হলে ভিপি পদে শিবিরের সাদিক কায়েক ৫ হাজার ৭৭১, ছাত্রদলের আবিদুল ইসলাম খান ২ হাজার ৯৬৮ ভোট পেয়েছেন। জিএস পদে শিবিরের ফরহাদ ৪ হাজার ১৮১, ছাত্রদলের শেখ তানভীর বারী হামীম পেয়েছেন ২ হাজার ১৭৮ ভোট। এ ছাড়া এজিএস পদে শিবিরের মহিউদ্দিন খান ৩ হাজার ৮২১ ভোট আর ছাত্রদলের তানভীর আল হাদী মায়েদ ২ হাজার ৬৪০ ভোট পেয়েছেন। 

সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তথ্যমতে, অমর একুশে হলে ভিপি পদে সাদিক কায়েম ৬৪৪ ভোট, জিএস পদে আবিদুল ইসলাম খান ১৪১ ভোট পেয়েছেন। একই হলে এস এম ফরহাদ ৪৬৬ ভোট, ছাত্রদলের হামিম ১৮০ ভোট পেয়েছেন। এজিএস পদে ছাত্রদলের মায়েদ ১৪১ ভোট, শিবিরের মহিউদ্দিন খান ৫২১ ভোট পেয়েছেন। 

সুফিয়া কামাল হলে সাদিক কায়েম ১ হাজার ২৭০ ভোট, আবিদুল ইসলাম খান ৪২৩ ভোট পেয়ছেন। একই হলে জিএস পদে এস এম ফরহাদ ৯৬৪ ভোট, শেখ তানভীর বারী হামীম ৪০২ ভোট পেয়েছেন। আর এজিএস পদে শিবিরের মহিউদ্দিন ১৩৫ ও ছাত্রদলের মায়েদ ৩৯৭ ভোট পেয়েছেন। 

ফজলুল হক মুসলিম হলে ভিপি পদে সাদিক কায়েম ৮৪১ আর আবিদুল ইসলাম খান ১৮১ ভোট পেয়েছেন। জিএস পদে ছাত্রদলের হামীম ২২৮ ও শিবিরের ফরহাদ ৪৮৯ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া এজিএস পদে মহিউদ্দিন ৭০৫ আর ছাত্রদলের তানভীর আল হাদী মায়েদ ১৮৮ ভোট পেয়েছেন। 

শহীদুল্লাহ হলে ভিপি পদে শিবিরের সাদিক কায়েম ৯৬৬ ভোট, ছাত্রদলের আবিদুল ১৯৯ ভোট পেয়েছেন। জিএস পদে শিবিরের এস এম ফরহাদ ফরহাদ ৭৭৩ আর ছাত্রদলের হামিম ২৪৯ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া এজিএস পদে শিবিরের মহিউদ্দিন ৮৪৪ ভোট ও ছাত্রদলের মায়েদ ১৮৪ ভোট পেয়েছেন। 

শামসুন্নাহার হলে ভিপি পদে ছাত্রদলের আবিদ ৪৩৪ ও শিবিরের সাদিক কায়েম ১ হাজার ১৪৪ ভোট পেয়েছেন। জিএস পদে ছাত্রদলের হামিম ৩১২ ও শিবিরের এস এম ফরহাদ ৮১৪ ভোট পেয়েছেন। এজিএস পদে ছাত্রদলের মায়েদ ৩৩৬ ও শিবিরের মহিউদ্দিন ৯০৫ ভোট পেয়েছেন। 

জগন্নাথ হল ভিপি পদে ছাত্রদলের আবিদুল ইসলাম ১ হাজার ২৭৬ আর শিবিরের সাদিক কায়েম পেয়েছেন মাত্র ১০ ভোট। জিএস পদে ছাত্রদলের হামীম পেয়েছেন ৩৯৮, শিবিরের ফরহাদ পেয়েছেন মাত্র ৫ ভোট। এজিএস পদে ছাত্রদলের মায়েদ পেয়েছেন ১ হাজার ১০৭, শিবিরের মহিউদ্দিন ৭ ভোট পেয়েছেন। 

সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ভিপি পদে সাদিক কায়েম ৮৯৬ ও আবিদুল ৩১৪ ভোট পেয়েছেন। জিএস পদে ফরহাদ ৬৭০ ও হামিম ৪০৯ ভোট পেয়েছেন। এজিএস পদে ছাত্রশিবিরের মহিউদ্দিন ৭০৪ ও ছাত্রদলের মায়েদ ২৮৭ ভোট পেয়েছেন। 

ফল প্রত্যাখ্যান ছাত্রদলসহ অনেকের

ফলাফল ঘোষণা শুরু হওয়ার পরপরই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে ছাত্রদল-সমর্থিত জিএস প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘পরিকল্পিত কারচুপির এ ফলাফল দুপুরের পরপরই অনুমান করেছি। নিজেদের মতো করে সংখ্যা বসিয়ে নিন। এ পরিকল্পিত প্রহসন প্রত্যাখ্যান করলাম।’

ছাত্রদলের জিএস প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামীম তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যদি মনে করেন, এটিই তাদের রায় তবে এ রায়কে আমি সম্মান জানাই। আমি শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষামান।’
আবিদ-হামীমদের সুরে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমাও বলেছেন, ‘চলিতেছে সার্কাস...কে কে দেখতেছেন?’

এ ছাড়া ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ সমর্থিত অপরাজেয় ৭১-অদম্য ২৪ প্যানেলও নির্বাচন বর্জন করেছে। ভিপি প্রার্থী নাইম হাসান হৃদয় বলেন, ‘প্রহসনমূলক এ ডাকসু ফলাফল আমরা ঘৃণাভরে বর্জন করলাম।’

ভোট কারচুপি ও দলীয় আধিপত্য বিস্তারের অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছেন স্বতন্ত্র ভিপি পদপ্রার্থী তাহমিনা আক্তার ও অদম্য ২৪ এর ভিপিপ্রার্থী নাইম হাসান হৃদয়। 

তাহমিনা আক্তার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে টিএসসিতে সাংবাদিকদের সামনে এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে ভোট কারচুপি ও দলীয় আধিপত্য দেখছি। অমর একুশে হলে পোলিং অফিসার শিক্ষার্থীকে ব্যালট পেপার পূরণ করে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। আবার আমাদের ছয়জন পোলিং এজেন্ট রাখার জন্য কর্তৃপক্ষে তথ্য দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা একজনও দেয়নি।

প্রায় ছয় বছর পর জাতীয় রাজনীতির আতুড়ঘরখ্যাত ডাকসু ও হল সংসদের ভোটগ্রহণ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ শেষে গণনার প্রক্রিয়া শুরু করতে আরও ৪৫ মিনিট লেগে যায়। বিকেল ৫টার পর ৮ কেন্দ্রেই ভোট গণনা শুরু হয়। ভোটকে অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। নির্বাচনের ভোট গণনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতে কেন্দ্রগুলোর সামনে এলইডি স্ক্রিনে দেখানো হয় ভোট গণনা। বিকেল পৌনে ৫টার দিকে কেন্দ্রগুলোর বাইরে থাকা এলইডি স্ক্রিন একে একে চালু করা হয়। এতে শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। রাত ৪টা পর্যন্ত ডাকসুর ফলাফলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি। তবে রাত পৌনে ২টা থেকে বিভিন্ন হল সংসদের ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়। 

ডাকসুতে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে পাঁচটি ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯ আর ১৩টি ছাত্র হলে ভোটার রয়েছেন ২০ হাজার ৯১৫ জন। এবারের নির্বাচনে ডাকসুতে ২৮টি পদের বিপরীতে ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে বিভিন্ন পদে ছাত্রী ৬২ জন। এ ছাড়া প্রতি হল সংসদে ১৩টি করে ১৮টি হলে মোট পদের সংখ্যা ২৩৪। এসব পদে ভোটের লড়াইয়ে অংশ নেন এক হাজার ৩৫ জন।

ভোট ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ

ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে গত প্রায় এক মাস ধরে উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রার্থীদের সরব প্রচার, আড্ডা আর শেষ পর্যন্ত ভোট হবে কি নাÑ সেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলেন শিক্ষার্থীরাও। সব শঙ্কা কাটিয়ে গতকাল অনুষ্ঠিত হলো কাক্সিক্ষত ভোট। তীব্র গরম আর দুপুরের পর এক পশলা বৃষ্টি উপেক্ষা করেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোটররা প্রাণবন্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির বেশির ভাগ শিক্ষার্থীরাই শুধু ডাকসু নয়, জীবনের প্রথমবারের মতো তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। ফলে সবার চোখে-মুখেই ছিল উচ্ছ্বাস। অনেক ভোটারই জানিয়েছেন, মোট ৪১টি ভোট দিতে হবে তাই কাকে ভোট দিবেন তা আগের রাতে বিশ্লেষণ করে তালিকা নিয়ে এসেছেন।

গতকাল সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই নারী শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সাড়ে ৮টার দিকে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে দেখা গেছে প্রায় এক কিলোমিটার লম্বা লাইন। কেন্দ্রটি শামসুন্নাহার হলের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত।
ভোটের জন্য লাইনে দাঁড়ানো নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রাফিয়া ইসলাম বলেন, অনেকদিন পর ডাকসুর ভোট হচ্ছে। জীবনে প্রথমবার ভোট দিচ্ছি। অনেক উৎসাহ নিয়ে সকাল সকাল বাসা থেকে চলে এসেছি। 

শুধু ছাত্রীরা নয়, ছাত্রদের মধ্যে ভোট নিয়ে ছিল ব্যাপক উৎসাহ। অনেকেই নিজ কেন্দ্রে ভোট প্রদান শেষে অন্যান্য কেন্দ্র বন্ধুদের নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন। তারা বলেন, আমরা যখন বুঝতে শিখেছি তখন জাতীয় নির্বাচনসহ যত নির্বাচন দেখেছি সবই ছিল কারচুপিতে ভরা। এই প্রথম কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ছাড়া ভয়ডরবিহীনভাবে ভোট দিচ্ছি। 

ভোট পড়েছে ৭৮.৩৩ শতাংশ, সবচেয়ে বেশি সূর্যসেন হলে 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ৭৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ভোট দিয়েছেন সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থীরা। এ হলের ৮৮ শতাংশ ভোটারই নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এ ছাড়া আরও ১২টি হলের শিক্ষার্থীরা ৮০ শতাংশের ওপরে ভোট দিয়েছেন।

সন্ধ্যায় ডাকসুর চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের হলগুলোর সংযুক্ত শিক্ষার্থীরা বেশি ভোট দিয়েছেন। ছাত্রদের হলগুলোর মধ্যে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলে ভোট পড়েছে ৮০ দশমিক ২৪ শতাংশ, অমর একুশে হলে ৮৩ দশমিক ৩০ শতাংশ, ফজলুল হক মুসলিম হলে ৮১ দশমিক ৪৩ শতাংশ, জগন্নাথ হলে ৮২ দশমিক ৪৪ শতাংশ, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ৮৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ৮৩ শতাংশ, স্যার এ এফ রহমান হলে ৮২ দশমিক ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে।

এ ছাড়া হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ৮৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ, বিজয় একাত্তর হলে ৮৫ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ, সূর্যসেন হলে ৮৮ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে ৭৫ শতাংশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ৮৭ শতাংশ ও কবি জসীম উদ্দীন হলে ৮৬ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন।

ছাত্রীদের হলে তুলনামূলক কম ভোট পড়েছে। ছাত্রীদের বেগম রোকেয়া হলে ৬৫ দশমিক ৫০ শতাংশ, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে ৬৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ৬৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ, কবি সুফিয়া কামাল হলে ৬৪ শতাংশ ও শামসুন নাহার হলের ৬৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ শিক্ষার্থী ভোট দিয়েছেন।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!