ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

আলোর আড়ালে অন্ধকার

স্বপ্না চক্রবর্তী
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫, ০১:৩৫ এএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ঋণ পরিশোধ না করে বাংলাদেশ চুক্তি ভঙ্গ করেছে বলে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছে ভারতের আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড লিমিটেড (এপিজেএল)। যদিও অস্ট্রেলিয়ার কয়লা ব্যবহারের কথা বলে দেশীয় কয়লা দিয়েই এ যাবৎ বিদ্যুৎ উৎপাদন করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। তাতেও তাদের খেদ মেটেনি। বাংলাদেশ সরকার নিয়মিত বকেয়া পরিশোধের পরও সম্পূর্ণ বকেয়া এককালীন পরিশোধের দাবিতে বারবার বন্ধ করছে উৎপাদন, যার প্রভাব পড়ছে দেশের সার্বিক বিদ্যুৎ খাতে।

অভিযোগ রয়েছে, শুধু ভারতকে খুশি করতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কয়েকজন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি স্বার্থসিদ্ধির জন্য চাহিদা না থাকা সত্ত্বেও আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিতে প্রভাব রাখে। এই প্রতিবেদন লেখার সময়েও কেন্দ্রটির একটি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ রেখেছে কোম্পানিটি। যদিও আদানির তরফ থেকে বলা হচ্ছে, কারিগরি ত্রুটির কারণে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। কিন্তু এটিকে অন্তর্বর্তী সরকারকে জিম্মি করে বকেয়া পাওনা একসঙ্গে আদায় করার এটি একটি কৌশল বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

এর আগে গত বছরও একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বকেয়া না দিলে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয় কোম্পানিটি। তখনো এর একটি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ ছিল। পরে দুই ইউনিটের উৎপাদনই বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে দুই দেশের জ্বালানি বিনিময় ইস্যুতে তৈরি হয় নানামুখী আলোচনা-সমালোচনা। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) বলছে, বাংলাদেশ নয়, বরং আদানিই চুক্তি ভঙ্গ করে অস্ট্রেলিয়া বা ইন্দোনেশিয়ার কয়লা ব্যবহার না করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে দেশীয় কয়লা ব্যবহার করছে, যার বিপরীতে কয়লার বাড়তি দামও আদায় করতে চাইছে তারা, যা সম্পূর্ণরূপে অন্যায্য।

পিডিবি সূত্রে জানা যায়, গত বছর ভারত থেকে কয়লার দামসহ ৮০ কোটি মার্কিন ডলার বকেয়ার দাবিতে চিঠি দেওয়া হয়। যেখানে কয়লার দাম ধরা হয় ৯৬ ডলার করে। কিন্তু দেশের পটুয়াখালীর পায়রায় নির্মিত ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতি টন কয়লার দাম নিচ্ছে ৭৫ মার্কিন ডলার। চট্টগ্রামের বাঁশখালীর এস এস পাওয়ার প্ল্যান্ট ও বাগেরহাটের রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রতি টন কয়ার দাম ৮০ মার্কিন ডলারের কম। তার মানে, প্রতি টন কয়লায় পায়রা ও রামপালের চেয়ে ১৬ থেকে ২১ মার্কিন ডলার পর্যন্ত বাড়তি দাম চায় আদানি। দেশীয় কয়লায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে কোনো প্রভাব না পড়লেও চুক্তি ভঙ্গ করে কোম্পানিটি বাংলাদেশ থেকে বেশি মুনাফা আদায় করতে চাইছে বলে মনে করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।

এ বিষয়ে তিনি রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘এরই মধ্যে আমরা তাদের কয়েকবার বিল দিয়েছি, কিন্তু তারা কোনো কথা না শুনে প্রতিদিন ১ মেগাওয়াট করে প্রতীকী বিদ্যুৎ সরবরাহ কম করার কথা জানায়। হঠাৎ করে গত বছরের ২ অক্টোবর জানায়, ৭ নভেম্বর থেকে তোমাদের আর বিদ্যুৎ দেব না। এরপর থেকেই তারা সক্ষমতার অর্ধেক বিদ্যুৎ দিচ্ছে আমাদের। পরে তারা ৭৩২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেয়। এখন আবার একটি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ করে রেখেছে। আমাদের জানিয়েছে কারিগরি ত্রুটি, কিন্তু মূল কারণ কী, তা আমরা জানতে পারিনি। তাদের বকেয়া নিয়মিতই পরিশোধ করা হচ্ছে। তারা খুব বেশি টাকা আমাদের কাছে পাবেও না। তবু কোম্পানিটির এমন ব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়।’

গ্রীষ্ম, সেচ মৌসুম, শিল্প খাত সব মিলিয়ে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদা ১৮ হাজার মেগাওয়াটের বেশি এখন পর্যন্ত হয়নি। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকেই দেশীয় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা ৩০ হাজার মেগাওয়াটের কাছাকাছি। চাহিদা না থাকায় অনেক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে ক্যাপাসিটি চার্জ। তারপরও বিগত আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিবেশী দেশ ভারতকে খুশি করতে দেশটির বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি করে, যে কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ শুধু বাংলাদেশে আসবে। এমনকি তাদের নিজের দেশেও ওই বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবে না। যদিও আওয়ামী লীগের পতনের পর এ অবস্থান থেকে সরে আসছে দেশটি, কিন্তু কার্যত এই কেন্দ্রকে এখন বিদ্যুৎ খাতের গলার কাঁটা হিসেবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। এই এক প্রকল্প থেকেই বিগত আওয়ামী সরকারের প্রধান শেখ হাসিনার পরিবার এবং তার ঘনিষ্ঠজনেরা ভারত থেকে বিশেষ সুবিধা আদায় করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। 

পিডিবির অবস্থান

পিডিবি বলছে, বর্তমান পরিস্থিতি ভিন্ন। আদানি যদি কঠোর অবস্থানে যায়, তাহলে বাংলাদেশও কঠোর অবস্থানে যাবে। আমাদের উৎপাদন সক্ষমতা পর্যাপ্ত পর্যায়ে রয়েছে। কোনো বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়ার প্রয়োজন নেই জানিয়ে পিডিবির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী রেজাউল করিম রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘এই কেন্দ্র শুধু বাংলাদেশে বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশে না দিতে পারলে কী করবে বিদ্যুৎ দিয়ে? যদিও সম্প্রতি তারা নিজেদের দেশেও কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার বিধান রেখে নীতিমালা করেছে। এমনটা করলে তা চুক্তি ভঙ্গেরই শামিল। তাই বাংলাদেশ নয়, বরং তারাই চুক্তি ভঙ্গ করেছে বলে আমি মনে করি। যদি তারা আমাদের জিম্মি করে কোনো বিষয়ে, তাহলে চুক্তি পুনরায় পর্যালোচনা করতে আমরা বাধ্য হব।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আদানির ঋণ প্রদান একটি নিয়মিত বিষয়। প্রায় প্রতি মাসেই নিয়মিতভাবে আমরা তাদের ঋণ পরিশোধ করে আসছি। চলতি মাসেও ডলার প্রাপ্তি সাপেক্ষে বকেয়া পরিশোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের আমাদের কাছে বকেয়া আছে সেটা সত্যি। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকেই এই বকেয়া শুরু। এক দিনেই তো আর পরিশোধ সম্ভব নয়। দুই পক্ষের আলোচনায় এর সমাধানে আসা সম্ভব।’

চুক্তি নিয়ে যত সমালোচনা

ভারতের আদানি গ্রুপের কেন্দ্র থেকে ২৫ বছরের জন্য বিদ্যুৎ কেনা চুক্তিটি প্রথম থেকেই ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। প্রথমেই কয়লার অতিরিক্ত দর নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল।

পিপিএ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, শুধু কয়লার দাম নয়; করছাড়, ক্যাপাসিটি চার্জ, কয়লার ক্যালরিক ভ্যালু, কয়লা কেনা, কয়লা পরিবহন, বিদ্যুৎ কেনার শর্তসহ অনেক বিষয়েই আদানি বাড়তি সুবিধা ভোগ করবে। 

খাতসংশ্নিষ্টরা বলছেন, এই বাড়তি সুবিধা না থাকলে বিদ্যুতের দাম কম হতো। 

তারা বলছেন, চুক্তির দুর্বলতার কারণে বাংলদেশকে অতিরিক্ত খরচের বোঝা ২৫ বছর টানতে হবে। জনস্বার্থে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এই চুক্তি সংশোধন অথবা বাতিলের দাবিও তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

ক্যাপাসিটি চার্জ বেশি

আদানির সঙ্গে স্বাক্ষরিত পিপিএ ও সমমানের অন্য দুটি বিদ্যুৎ প্রকল্পের পিপিএ বিশ্লেষণে দেখা যায়, আদানির চুক্তিতে ক্যাপাসিটি চার্জ হিসাব করা হয়েছে ট্যারিফ ফর্মুলায়। ফলে পিপিএতে ক্যাপাসিটি চার্জ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। পিপিএ অনুসারে ক্যাপসিটি চার্জের পরিবর্তনশীল অংশটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমে আসবে। প্রথম বছর প্রতি কিলোওয়াট/মাসে ক্যাপাসিটি চার্জ ধরা হয় ২১ দশমিক ৮৯২৭ মার্কিন ডলার। ২৫তম বছরে তা কমে হবে ১৪ দশমিক ৬২৭০ মার্কিন ডলার। ক্যাপসিটি চার্জের অপরিবর্তনশীল অংশটি আদানির পিপিএতে প্রতি কিলোওয়াট/মাসে ৩ দশমিক ৬৫ ডলার নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। কিন্তু পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পিপিএতে ক্যাপাসিটি চার্জ নির্ধারণ করা হয়েছে কস্টপ্লাস ফর্মুলায়। এতে ক্যাপাসিটি চার্জ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক আসবে।

চুক্তি অনুসারে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি খরচ পিডিবি বহন করে, যা বিদ্যুতের দামের সঙ্গে যুক্ত থাকে। পিপিএতে এই জ্বালানির মূল্য নির্ধারণের পদ্ধতি উল্লেখ করা থাকে। কিন্তু পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের পিপিএতে কয়লার দর নির্ধারণে ডিসকাউন্ট ফ্যাক্টর বিবেচনার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু আদানির চুক্তিতে এমন সুযোগ নেই। আদানির পিপিএর শিডিউল ৬-এর টেবিল সি’তে কয়লার দর নির্ধারণের ফর্মুলা দেওয়া আছে। এটি অনুসারে দর নির্ধারণে ইন্দোনেশিয়ান কোল ইনডেপ এবং নিউ ক্যাসেল ইনডেপের গড় হিসাব করা হবে। এ ছাড়া ৪ হাজার ৬০০ কিলোক্যালরির কয়লা ব্যবহার করলেও ৪ হাজার ৬০০ ও ৬ হাজার ৩২২ কিলোক্যালরির কয়লার মিশ্র দাম নিতে পারবে আদানি।

টিআইবি যা বলছে

আদানির সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি অসম, অস্বচ্ছ ও বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে তা সংশোধন এবং প্রয়োজনে চুক্তি বাতিল করার পরামর্শ দিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। 

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, চুক্তিটিতে আদানি গোষ্ঠীর স্বার্থকে এমনভাবে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে যে, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাত এই প্রতিষ্ঠানের হাতে জিম্মি হয়ে গেছে। আমরা এটি আগেও বলেছি, এখনো বলছি। আমার দেশকে জিম্মি করে একটি কোম্পানি হয়রানি করবে, তা মেনে নেওয়া যায় না। অন্তর্বর্তী সরকার নিশ্চয়ই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। 

বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতে এমনিতেই হরিলুট চলছে। বিশেষ আইনের সুযোগে দরপত্র ছাড়াই শতাধিক বিদ্যুৎ চুক্তি হয়েছে। আদানির সঙ্গে চুক্তির জালিয়াতি সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে। এই চুক্তি বাংলাদেশের জন্য গলার কাঁটা হবে একটা সময়, তা চুক্তি হওয়ার সময়েই বলেছিলাম। বাস্তবেও তাই ঘটছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তাদের সঙ্গে চুক্তিতে অনেক ধরনের বাড়তি খরচ ধরা হয়েছে। পদে পদে সুবিধা নিয়েছে তারা। এর ফলে দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ ডলার নিয়ে যাচ্ছে আদানি। অস্ট্রেলিয়া বা ইন্দোনেশিয়ার কয়লার নাম করে তারা দেশি কয়লা ব্যবহার করছে। এতে করে তারা চুক্তি ভঙ্গ করেছে। তাই বলব, এটি একটি একতরফা চুক্তি, সেই সুযোগটাই নিচ্ছে আদানি। এই চুক্তি থেকে অবিলম্বে সরে আসা প্রয়োজন সরকারের। সরকার বাতিল করতে না পারলে আদালতে যাবে ক্যাব।’

বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকলেও প্রভাব পড়েনি চাহিদায়

তবে আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখলেও চাহিদা কমায় খুব একটা প্রভাব পড়ছে না বলে জানিয়েছে পিডিবি। আদানির ওই ইউনিট থেকে দেশের জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ বন্ধ রয়েছে প্রায় ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। একই সময়ে কয়লার অভাবে পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে বিবিয়ানার একটি ইউনিট এবং রামপালের একটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদনও কারিগরি ত্রুটি ও কয়লার অভাবে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। কিন্তু এতে সরবরাহে কোনো প্রভাব পড়ছে না বলে জানিয়েছে পিডিবি।

প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, চাহিদার তুলনায় সারা দেশে বুধবার বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। 

পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ লিমিটেডের তথ্যমতে, বুধবার দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৪ হাজার ৭৫৫ মেগাওয়াট এবং ১৪ হাজার ১৩৩ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে উৎপাদন হয়েছে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ৩৫০ মেগাওয়াট এবং সর্বনিম্ন ১৪ হাজার ৮৮১ মেগাওয়াট। ফলে পুরো মৌসুমে বিদ্যুৎ পরস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। পল্লী অঞ্চলের যেসব জায়গায় বর্তমানে লোডশেডিং হচ্ছে, তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে তা-ও থাকবে না বলেও জানিয়েছেন তারা। 

চুক্তি সংস্কারে অস্বীকৃতি আদানির

কয়লার বাড়তি দাম পুনর্বিবেচনা করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চুক্তি সংস্কারের চিঠি সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে আদানি কর্তৃপক্ষ। গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি দেশটির নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে পাঠানো এক চিঠিতে আদানি পাওয়ার বলেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির বিষয়ে পুনরায় আলোচনা হচ্ছে না।