ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা-রাঙ্গিয়ারপোতা সড়কের পাশে একটি ধান ক্ষেত থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ইসারুদ্দিন মন্ডল ওরফে ইসা (৭০) নামে এক বৃদ্ধের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে স্থানীয় কৃষকরা ধানখেতে মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যরা সেখানে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে। নিহত ইসারুদ্দিন মন্ডল রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে।
নিহতের ছেলে জুলহক বলেন, আমার বাবা একজন দিনমজুর কৃষক। শীতের সিজনে খেজুর গাছ কাটার কাজ করতেন। অন্য গাছিদের খেঁজুর গাছ কাটার দঁড়ি ও অন্যান্য সামগ্রী তৈরি করে দিতেন।
বুধবার সন্ধ্যার দিকে অজ্ঞাত গাছির বাড়িতে যাবার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। বাড়ি ফিরতে দেরি হলে আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করি। সকালে সংবাদ পাই, আমার বাবার মরদেহ বটদাড়ির মাঠে একটি ধানখেতে পাওয়া গেছে। তবে তার বাবাকে হত্যা করা হতে পারে এমন কোনো কারণ জানাতে পারেননি তিনি।
প্রতিবেশী মশিউর রহমান বলেন, ইসারুদ্দিন মন্ডল খুবই নিরীহ মানুষ ছিলেন। কারো সাথে কখনো দ্বন্দ্ব হতে দেখিনি। কি কারণে তাকে হত্যা করা হতে পারে আমরা ধারণাই করতে পারছি না।
ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আনিচুর রহমান বলেন, সকালে স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে বংকিরা-রাঙ্গিয়ারপোতা সড়কের বটদাড়ি মাঠের একটি ধানখেত থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ইছাহাক আলী নামের একজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, হাত-পা বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে বৃদ্ধকে হত্যা করে এখানে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সকালে রাঙ্গিয়ার পোতার এক বৃদ্ধ কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবার থেকে জানানো হয়েছে, মরদেহ দাফনের পরে মামলা দায়ের করবে। হত্যার কারণ উদঘাটন ও হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে কাজ করছে পুলিশ।


