আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে বাংলাদেশসহ মোট ৯টি দেশের ওপর পর্যটন ও কর্ম ভিসার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। ব্যাবসায়িক উদ্দেশ্যে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক এই ৯ দেশের নাগরিকরাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবেন। তবে এ বিষয়ে আমিরাতের সরকারি ওয়েবসাইটে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। যদিও ভিসা নিষেধাজ্ঞার খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তুললেও, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাংলাদেশ দূতাবাস বলছে ভিন্ন কথা। দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বন্ধের কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি সংযুক্ত আরব আমিরাত। যে ওয়েবসাইট থেকে বাংলাদেশিদের ভিসা বন্ধের তথ্য ছড়ানো হয়েছে সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের কোনো ওয়েবসাইট নয়।
এদিকে ভ্রমণবিষয়ক ওয়েবসাইট ইউএইভিসাঅনলাইন ডটকমের দাবি অনুসারে, আমিরাতের অভিবাসন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশগুলো হলোÑ বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, লিবিয়া, ইয়েমেন, সোমালিয়া, লেবানন, ক্যামেরুন, সুদান ও উগান্ডা। তবে আমিরাত সরকারের পক্ষ থেকে এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার আনুষ্ঠানিক কারণ জানানো হয়নি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভ্রমণ, কাজ বা ব্যাবসায়িক উদ্দেশ্যে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক বিদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা একটি অপরিহার্য নথি। যদিও বেশির ভাগ নাগরিক সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর্যটন ভিসা বা সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাজের ভিসার জন্যই আবেদন করেন।
ধারণা করা হচ্ছে, আরব আমিরাতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণগুলো হলোÑ অবৈধ বা জাল ভিসা নিয়ে ইউএইইতে প্রবেশ করা। ভুয়া পরিচয় বা জাল পাসপোর্ট ব্যবহার করা। ভিসার মেয়াদ পার হয়ে যাওয়ার পরও দেশটিতে থেকে যাওয়া। অপরাধমূলক ইতিহাস বা চলমান মামলা থাকা। বৈধ কাজের অনুমতি ছাড়া কাজ করা এবং কোভিড-১৯ পরীক্ষার বা টিকাদান সংক্রান্ত শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়া।
এই নিষেধাজ্ঞা অস্থায়ী বলে মনে করা হচ্ছে এবং আমিরাতের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করে তা পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, যারা বৈধ ভিসা নিয়ে এরই মধ্যে আমিরাতে বসবাস করছেন, তারা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ছেন না। তবে এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা কূটনৈতিক সম্পর্ক ও প্রবাসীদের ওপর প্রভাব ফেলেছে। পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফ্রিকার কয়েকটি দেশের অনেক প্রবাসী কাজের অনুমতি নবায়ন ও নতুন চাকরির জন্য আবেদন করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন।
এদিকে বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে সাপ্তাহিক ছুটি শেষে আমিরাত সরকারের সাথে কথা বলা হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি ছাড়া ভিসাসংক্রান্ত কোনো গুজবে কান না দিতে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন