শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২৫, ১১:০৫ পিএম

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক

পাঁচ বেসরকারি ব্যাংক একীভূত  করার প্রস্তাব অনুমোদন

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২৫, ১১:০৫ পিএম

পাঁচ বেসরকারি ব্যাংক একীভূত  করার প্রস্তাব অনুমোদন

বেসরকারি পাঁচটি ব্যাংক একীভূত করে একটি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক গঠনের প্রস্তাবনা নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। ব্যাংকগুলো হলোÑ ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। নতুন ব্যাংকের জন্য প্রস্তাবিত নাম হলো ‘ইন্টার ইউনাইটেড ইসলামী ব্যাংক’ অথবা ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড পিএলসি’। পাশাপাশি ব্যাংক ও বিমা খাতে আমানত সুরক্ষা আইনকে যুগোপযোগী করে সংশোধনীও অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এ ছাড়া সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ আবারও সংশোধনসহ ১১টি অধ্যাদেশ ও তিনটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। 

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সভায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এবং ইসলামী ব্যাংকিং খাতকে শক্তিশালী করতে পাঁচটি সংকটাপন্ন ব্যাংক একত্রিত করে নতুন একটি ব্যাংক গঠনের প্রস্তাব চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’ এ সময় প্রধান উপদেষ্টার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ও তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

শফিকুল আলম বলেন, ‘এই একীভূত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যাংকগুলোর সকল দায় ও সম্পদ গ্রহণ করে নতুন ব্যাংক কার্যক্রম পরিচালনা করবে। প্রস্তাবিত নতুন ব্যাংকটি বাণিজ্যিকভাবে এবং পেশাদারির ভিত্তিতে পরিচালিত হবে।’

উপদেষ্টা পরিষদের সভায় উপস্থাপিত তথ্য অনুযায়ী, প্রস্তাবিত নতুন ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন হবে ৪০ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে পরিশোধিত মূলধন হবে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা সরকার প্রদান করবে; যার ১০ হাজার কোটি টাকা নগদে এবং বাকি ১০ হাজার কোটি টাকা সুকুক বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে।

শেয়ার রূপান্তরের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারীদের ১৫ হাজার কোটি টাকা মূলধনে রূপান্তর করা হবে, যা বেইল-ইন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। এই প্রক্রিয়ায় ব্যাংকের গ্রাহক ও অন্যান্য পাওনাদারের ঋণের একাংশ শেয়ারে রূপান্তরিত হবে। পরে প্রস্তাবিত পরিকল্পনা অনুযায়ী এটি পরিশোধ করা হবে।

শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘আইসিবি ইসলামী ব্যাংক পিএলসির শেয়ার মালিকানা বিষয়ে উচ্চ আদালতে মামলা চলমান থাকায় ব্যাংকটিকে এই প্রক্রিয়ার বাইরে রাখা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গঠিত নতুন ব্যাংক রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন হবে এবং স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করবে।’

প্রাথমিকভাবে অর্থ বিভাগ সরকারের পক্ষে হস্তান্তর গ্রহীতা ব্যাংকের মালিক হবে। তবে ধাপে ধাপে মালিকানা বেসরকারি খাতে হস্তান্তর করার পরিকল্পনা রয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, তিন বছরের মধ্যে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার নির্ধারণ করা হবে এবং পাঁচ বছরের মধ্যে ব্যাংকটি বেসরকারি খাতে হস্তান্তর করা হবে। 

প্রেস সচিব নিশ্চিত করেন, ‘এই একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় কোনো কর্মচারী চাকরি এবং কোনো আমানতকারী তাদের আমানত হারাবেন না। এটি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার পাশাপাশি ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা ও নৈতিকতা নিশ্চিত করবে।’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হওয়া দণ্ড বাতিল হবে

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ আবারও সংশোধন করছে সরকার। এর মাধ্যমে ইতিমধ্যে রহিত হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কয়েকটি ধারায় কারো দ- হয়ে থাকলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে। তদন্তাধীন মামলাও বাতিল হবে। 

উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন হওয়া খসড়ায় বলা হয়, রহিত করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর ২১, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯ ও ৩১ ধারাগুলোর অপরাধ সংঘটনে সহায়তার অপরাধে কোনো আদালত বা ট্রাইব্যুনালে নিষ্পন্নাধীন কোনো মামলা বা অন্যান্য কার্যধারা অথবা পুলিশ কর্মকর্তা বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্তাধীন মামলা বা কার্যক্রম বাতিল হবে এবং এ বিষয়ে আর কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে না। এ ছাড়া ওই ধারাগুলোর অধীন কোনো আদালত বা ট্রাইব্যুনালের দেওয়া দ- ও জরিমানা বাতিল বলে গণ্য হবে।
আরও তিনটি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন

আরও তিনটি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশের চূড়ান্ত ও নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। তিনটি অধ্যাদেশ হচ্ছেÑ ময়মনসিংহ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ ২০২৫, বরিশাল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং রংপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ ২০২৫।

এর বাইরে জাতীয় উপাত্ত ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ-২০২৫, ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫, আমানত সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫, কাস্টমস আইন ২০২৩ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫, আয়কর আইন-২০২৩ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং দেওয়ানি আদালত (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া অনুমোদন করা হয়।

এ ছাড়া জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) অধীনে ছয়টি ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি (আইএমটি) থেকে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা উত্তীর্ণদের কন্টিনিউয়াস ডিসচার্জ সার্টিফিকেট (ক্যাডেট সিডিসি) প্রদান এবং প্রতিবছর নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহকে ‘জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!