ঢাকা মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫

ঐকমত্য কমিশন সুপারিশ জমা দেবে আজ

নির্বাহী আদেশেই বাস্তবায়ন হবে জুলাই সনদ

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২৫, ১২:৪১ এএম

* প্রধান উপদেষ্টার স্বাক্ষরে জুলাই আদেশ
* পরবর্তী সংসদ ৯ মাসের মধ্যে সুপারিশ বাস্তবায়ন করবে
* নোট অব ডিসেন্টসহ পুরো সনদ বাস্তবায়ননের সুপারিশ
* শিগগির স্বাক্ষর করতে পারে এনসিপি
* গণভোট হবে সনদ নয়, জুলাই আদেশের ওপর
* গণভোটের সিদ্ধান্ত ও সময় সরকার ঠিক করবে : আলী রীয়াজ

গণঅভ্যুত্থানের ভিত্তিতে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’ জারি করবে সরকার। নির্বাহী বিভাগের প্রধান হিসেবে এতে স্বাক্ষর করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই আদেশেই ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ বাস্তবায়ন হবে। গতকাল সোমবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। কমিশনের সভাপতি হিসেবে ড. ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় কমিশনের সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা হবে। আর শিগগিরই জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সনদে স্বাক্ষর করবে। কমিশন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে ঐকমত্য কমিশন। সুপারিশে বলা হয়, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে প্রথমে আদেশ জারি করবে সরকার। আদেশের পরিশিষ্টে সনদের ৮৪টি প্রস্তাবই উল্লেখ থাকবে। আদেশ জারির পর বেশ কিছু সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হবে। আর চূড়ান্ত আইনি ভিত্তি দিতে এই আদেশের ওপর হবে গণভোট। এতে ভোটারদের কাছে প্রশ্ন থাকবে, আপনি জুলাই আদেশ সমর্থন করেন কি না। ভোটাররা ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ সমর্থন দেবেন। হ্যাঁ জয়যুক্ত হলে নোট অব ডিসেন্টসহ (আপত্তি) পুরো সনদ বাস্তবায়ন হবে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচিত সংসদকে ৯ মাস বা ২৭০ দিনের মধ্যে সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে। আর পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের দুটি দায়িত্ব থাকবে। প্রথমত সংবিধান সংস্কার পরিষদ। অর্থাৎ, ৯ মাসের মধ্যে সংবিধানের সংশোধন করতে হবে। এরপর নিয়মিত আইনসভা হিসেবে কাজ করবে সংসদ। তবে গণভোট জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে নাকি আগে, সেটি সরকার নির্ধারণ করবে।

জানতে চাইলে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ গতকাল বলেন, আজ দুপুর ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে সুপারিশ জমা দেওয়া হবে। বিশেষ আদেশে সনদ বাস্তবায়ন হবে। এই আদেশের ভিত্তি হবে জুলাই গণঅভ্যুত্থান।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সুপারিশ সরকারপ্রধান আদেশে স্বাক্ষর করবেন। বাকিটা ওনারা সিদ্ধান্ত নেবেন।’ গণভোটের তারিখের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের সুনির্দিষ্ট কোনো সুপারিশ নেই। গণভোট কখন হবে, সেই সিদ্ধান্ত সরকারের।’ সংসদের উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি থাকছে কি নাÑ এমন প্রশ্নের জবাবে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমাদের সুপারিশ থাকবে। বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরকারের।’

শেষ মুহূর্তে রাজনৈতিক কোনো দলের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের চাপ আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমদের কোনো ধরনের চাপে নেই। আমরা স্বাধীনভাবে কাজ করেছি।’ রাজনৈতিক দলগুলো সনদ বাস্তবায়ন না করলে তাদের বাধ্য করার জন্য কী থাকছে জানতে চাইলে আলী রীয়াজ বলেন, “‘বাধ্য করা’ শব্দটির সঙ্গে আমি একমত নই। কারণ জুলাই সনদ তৈরিতে দলগুলো আমাদের সহযোগিতা করেছে। তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সেখানে স্বাক্ষর করেছে। তারা দেশের মানুষের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাদের ভেতরে মতপার্থক্য ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোই সনদ তৈরির মূল অংশীজন। ফলে বাস্তবায়ন না করার কোনো বিষয় নেই।”

সূত্র জানায়, বিশেষ আদেশে গণভোট বাস্তবায়ন হবে। আদেশের ভিত্তি হবে গণঅভ্যুত্থান। এরপর জনগণের সম্মতির জন্য সংবিধানের মৌলিক বিষয় সংশোধনের বিষয়গুলো গণভোটে যাবে।

সূত্র আরও জানায়, বিশেষজ্ঞরা আগে সাংবিধানিক আদেশ জারি করে গণভোট আয়োজনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। যেহেতু সংবিধানের মৌলিক পরিবর্তনের ক্ষমতা সংসদের নেই, তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে আগামী সংসদের প্রথম অধিবেশনকে গণভোটের মাধ্যমে কন্সটিটুয়েন্ট (গাঠনিক) ক্ষমতা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ওই অধিবেশনের নাম হবে ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ’। গণভোটে অনুমোদিত জুলাই সনদ অনুযায়ী ওই অধিবেশন সংবিধানের সংস্কার করবে। এরপর তা সাধারণ সংসদ বা আইনসভায় রূপান্তর হবে।

সূত্র আরও জানায়, জুলাই আদেশ হবে সংবিধানের সমতুল্য। এর নাম হবে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ ২০২৫’। আর গণভোটের মাধ্যমেই তা চূড়ান্ত রূপ পাবে। এ ক্ষেত্রে জুলাই সনদ নয়, গণভোট হবে জুলাই আদেশের ওপর। এই আদেশ পাস হলে সংস্কার ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন হবে। তবে যেসব বিষয়ে বিভিন্ন দলের নোট অব ডিসেন্ট আছে, সেগুলোও কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে বাস্তবায়ন হবে। এ ক্ষেত্রে সংসদের উচ্চকক্ষে পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব), একজন ব্যক্তির তিন পদে (নির্বাহী বিভাগের প্রধান, সংসদ নেতা ও দলের প্রধান) না থাকা এবং সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ব্যাপারে কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা বাস্তবায়ন করতে চায়। এর সবকিছুই আদেশে রয়েছে।

সূত্র জানায়, ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে ৪৭টি সংবিধান সম্পর্কিত। এগুলোর বাস্তবায়ন নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। এর মধ্যে সনদ সুপারিশ চ’ড়ান্ত করেছে কমিশন।

সূত্র আরও জানায়, আদেশ জারির পর এর কিছু অংশ তাৎক্ষণিক এবং কিছু কিছু বিষয় পরবর্তী সময়ে কার্যকর হবে। আদেশের কোন ধারা কবে কার্যকর হবে, তা সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া থাকছে। সংস্কার প্রস্তাবগুলো একটি বিল আকারে উপস্থাপন করে তার ভিত্তিতে গণভোট করার বিকল্প সুপারিশ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, জুলাই সনদ ইতিমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে। গত ১৭ অক্টোবর বিএনপি, জামায়াতসহ ২৪টি দল সনদে স্বাক্ষর করেছে। পরদিন স্বাক্ষর করে গণফোরাম। অর্থাৎ, ২৫টি দল ইতিমধ্যে স্বাক্ষর করেছে। কিন্তু জুলাই আন্দোলনের অন্যতম অংশীজন এনসিপি এখনো স্বাক্ষর করেনি। দলটি বলছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের লিখিত কপি এবং গণভোটের প্রশ্নটি চূড়ান্ত করে আগেই জনগণের কাছে প্রকাশ করতে হবে। তবে গণভোটের ব্যাপারে দলগুলো একমত হলেও ভোটের সময় নিয়ে আপত্তি আছে।

বিএনপি বলছে, জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে ভিন্ন ব্যালটে হবে। জামায়াত ও এনসিপি বলছেÑ আগে গণভোট, পরে জাতীয় নির্বাচন। এ নিয়ে বর্তমানে মাঠে আন্দোলন করছে জামায়াতসহ আট দল। ফলে এই সনদ বাস্তবায়নে সুপারিশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কমিশনের সমাপনী বৈঠক অনুষ্ঠিত

এদিকে গতকাল সোমবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে কমিশনের সমাপনী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া ও সফর রাজ হোসেন। এ ছাড়া সনদ তৈরিতে বিশেষজ্ঞ প্যানেল কাজ করেছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ড. শরিফ ভূঁইয়া, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক ও ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন।

সমাপনী বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের পর থেকে চূড়ান্ত সুপারিশ দেওয়া পর্যন্ত সমস্ত ডকুমেন্ট, আলোচনার ভিডিও, অডিও, ছবি সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘এগুলো মহামূল্যবান সম্পদ। জাতি হিসেবে আমরা কোন প্রেক্ষাপটে কী প্রক্রিয়ায় কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছালাম, তা সবার জন্য দীর্ঘ মেয়াদে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং উন্মুক্ত থাকা দরকার। যত বৈঠক হয়েছে, সেগুলোর ছবি ও ভিডিও; যত চিঠি চালাচালি হয়েছে, সমস্ত ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করতে হবে এবং ক্যাটাগরি করে রাখতে হবে। টেলিভিশনে যেসব আলোচনা লাইভ প্রচার হয়েছে, সেগুলো খ- খ- আকারে সংরক্ষণ করতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এগুলো হবে ইতিহাসের চিরজীবন্ত দলিল। যারা গবেষণা করতে চান, তারা যেন এগুলো দেখে কাজে লাগাতে পারেন। প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই ডকুমেন্ট থেকে যাবে। এই দলিলগুলোই ভবিষ্যতের রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে। এ সময় রাজনৈতিক দল, ঐকমত্য কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী, গবেষক ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রধান উপদেষ্টা।

সমাপনী বৈঠকে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা চূড়ান্ত করার পাশাপাশি অন্য সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়নেও সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কমিশন সদস্যরা।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বাংলাদেশে একটি স্থায়ী জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপনের জন্য কাজ করেছে উল্লেখ করে কমিশনের সহসভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি আইন বিশেষজ্ঞ, বিচারপতি, শিক্ষাবিদসহ নাগরিক সমাজের বিশিষ্টজনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের তিনটি মূল দায়িত্বের (বিচার, সংস্কার, নির্বাচন) একটি কাঠামোগত সংস্কার। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান দায়িত্ব ছিল সংস্কারের একটি রূপরেখা তৈরি করা। মিল-অমিল সত্ত্বেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও সংস্কারের আকাক্সক্ষা দৃশ্যমান ছিল। তারা বরাবরই আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন। দিনের পর দিন অত্যন্ত ধৈর্য ও বিচক্ষণতার সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘চব্বিশে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থান আমাদের যে সুযোগ দিয়েছে, সেটা যেন হারিয়ে না ফেলি। কমিশন সংস্কারকেই অগ্রাধিকার দিয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে জনগণ কাক্সিক্ষত পরিবর্তন দেখতে পারে। কমিশন দায়িত্ব শেষ করল। আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর হবে। কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে ৩১ অক্টোবর। এর পরেও সরকারের প্রয়োজন হলে এ দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা প্রদানের চেষ্টা করব।’

নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান ও কমিশন সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে সবাই সরকারের নিবিষ্টতা ও সাহসিকতা প্রত্যাশা করে। গণঅভ্যুত্থানে এত তাজা প্রাণ ঝরে গেল, এত মানুষ আহত হলোÑ এটা স্মরণে রেখে প্রয়োজনীয় সংস্কার যাতে নিশ্চিত হয়। এই সুযোগ যেন না হারাই।’

কমিশন সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য ছিল, একই রকম আন্তরিকতার প্রতিফলন ছিল কমিশনের বৈঠকগুলোতে। এটা খুবই ইতিবাচক দিক।’

পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান ও কমিশন সদস্য সফর রাজ বলেন, ‘প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলো বসে ধৈর্যের সঙ্গে আলোচনা করেছে। ভবিষ্যতেও যেন এ ধরনের সৌহার্দ্যতা থাকে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ও কমিশন সদস্য ড. ইফতেখারুজ্জামান জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পাশাপাশি দুদক সংস্কারেও সরকারকে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। 

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার বলেন, ‘যতগুলো শহিদ পরিবারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, তারা প্রত্যেকে আমাদের জানিয়েছে, সংস্কার নিশ্চিত করা না হলে তাদের সন্তানদের জীবন উৎসর্গ করা বৃথা যাবে বলে তারা মনে করেন। যারা জুলাইয়ে জীবন দিল, তারাই এর মূল ভিত্তি।’