সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রাজবাড়ী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২৫, ১০:৪৭ পিএম

রাজবাড়ীর পাংশা

দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়ল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত কবরস্থান

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২৫, ১০:৪৭ পিএম

দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়ল  বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য  সংরক্ষিত কবরস্থান

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের তারাপুর কবরস্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত অংশে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রোববার ভোররাতের দিকে দুর্বৃত্তরা কবরস্থানটির সীমানাপ্রাচীর ও বাঁশ দিয়ে ঘেরা অংশে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয় বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানা-পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল ভোরে ফজরের সময় মসজিদে মুসল্লিরা নামাজ পড়তে এলে কবরস্থানে আগুন দেখতে পান। পরে মসজিদের মাইকে আগুন লাগার ঘটনা বলতে থাকলে স্থানীয় লোকজন দ্রুত এসে আগুন নেভান। আগুন লাগার স্থানে পেট্রোল ও কেরোসিনের গন্ধ পাওয়া যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

তারাপুর জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন ও কবরস্থান দেখভালের দায়িত্বে থাকা শহিদুল জানান, ফজরের আজান দিতে যাওয়ার সময় তিনি আগুন দেখতে পান। পরে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিলে এলাকাবাসী ও হেফজখানার শিক্ষার্থীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তিনি বলেন, ‘এটি দুর্ঘটনা নয়। কবরস্থানে বিদ্যুৎ নেই, আশপাশেও আগুন ধরার কোনো উৎস নেই। এটি স্পষ্টভাবে পরিকল্পিত নাশকতা।’

দ্রুত দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি জানিয়ে বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও কবরস্থান পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. সজীব হোসেন বলেন, ‘আগুন দেওয়ার ঘটনার চেয়ে ন্যক্কারজনক কাজ আর হতে পারে না। ঘটনাস্থলে এখনো কেরোসিনের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।’

পাংশা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের সদস্যসচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, তারাই আগুন দিয়েছে। খবর পেয়ে দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা, ইউএনও এবং থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কেরোসিনের গন্ধ এখনো রয়েছে। এ ঘটনার বিচার না হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে মুক্তিযোদ্ধাদের অস্তিত্বই ঝুঁঁকিতে পড়বে। বিজয়ের মাসে এমন ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।’

এদিকে বিজয়ের মাসে দেশ রক্ষাকারী বীরদের প্রতি এমন অসম্মানজনক আচরণে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও উদ্বেগ বিরাজ করছে।

এ প্রসঙ্গে পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রিফাতুল হক বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়ে মনে হয়েছে আগুন ইচ্ছাকৃতভাবে লাগানো হয়েছে। এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি এবং পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

উল্লেখ্য, ১৯৪৬ সালে তিন একর জায়গা নিয়ে তারাপুর কবরস্থানটি স্থাপিত হয়। ২০২২ সালে কবরস্থানের ৪৫ ফুট জায়গা নিয়ে বাহাদুরপুর ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত কবরস্থান স্থাপিত হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত কবরস্থানে বাঁশ ও প্লাস্টিকের নেট দিয়ে ঘেরাও করা হয়েছিল। সেখানে পাঁচজন মুক্তিযোদ্ধাকে দাফন করা হয়েছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!