ঢাকা বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ দৃষ্টিতে রাখুন

ডা. মোহাম্মদ আল আমিন
প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২৫, ০৮:২৭ এএম
দৃষ্টি

সন্তানকে স্কুল বা মাদ্রাসায় ভর্তি করার পূর্বে চোখের দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা করান। তারা বোর্ডের লেখা ঠিকমতো দেখতে পাচ্ছে কি না নিশ্চিত হন।

অম্বেলিওপিয়া (অলস চোখ) বা চোখের অন্যান্য সমস্যা প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করুন।

চোখের সমস্যা নীরব ঘাতকের মতো। সময়মতো না বুঝলে শিশুর শিক্ষা জীবন ও মানসিক বিকাশ ব্যাহত হতে পারে। সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য, দৃষ্টি পরীক্ষা একটি অপরিহার্য পদক্ষেপ।

শিশুদের চোখে সাধারণ রোগ ও সমস্যা

জন্মগত ছানি: চোখের লেন্সে জমাট বাঁধা ঘোলাটে অংশ, যা দৃষ্টিশক্তি বাধাগ্রস্ত করে। জন্মের সময়ই উপস্থিত থাকতে পারে।

অলস চোখ: একটি চোখ ঠিকভাবে দেখতে না পারলে তা ধীরে ধীরে ‘অলস’ হয়ে পড়ে। সাধারণত অন্য চোখ বেশি সক্রিয় থাকে বলে ছোট চোখটি অব্যবহৃত থেকে দুর্বল হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা না পড়লে স্থায়ী সমস্যা হয়ে যেতে পারে।

চোখের স্কুইন্ট বা চোখ হাঁটাহাঁটি: এক চোখ সোজা থাকলেও অন্য চোখ অন্যদিকে ঘুরে থাকে। এটি দৃষ্টিশক্তির বিকাশে ব্যাঘাত ঘটায়।

ভ্রান্ত দৃষ্টি শক্তি: যেমন- নিকটদৃষ্টি, দূরদৃষ্টি, অস্বাভাবিক বক্রতা এসব সমস্যায় শিশু দূরের বা কাছের বস্তু ঝাপসা দেখতে পায়।

কখন সতর্ক হবেন?

শিশু টিভি খুব কাছ থেকে দেখে

  • চোখে চোখ রাখে না
  • বারবার চোখ ঘষে
  • চোখে পানি পড়ে বা পুঁজ জমে
  • একটি চোখ অন্যদিকে ঘুরে থাকে
  • লেখা পড়তে সমস্যা হয়

আপনার করণীয়: জন্মের পরপরই শিশু চক্ষু পরীক্ষা করানো স্কুলে ভর্তি হওয়ার আগেই দৃষ্টি শক্তি যাচাই যেকোনো অস্বাভাবিকতা হলে চোখের চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ।

ডা. মোহাম্মদ আল আমিন
সিনিয়র অপ্টোমেট্রিস্ট
মুন্সীগঞ্জ চক্ষু হাসপাতাল