ঢাকা সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫

বললেন নুরুল হক নুর আলোচনার মধ্য দিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছাতে হবে

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ২১, ২০২৫, ০৩:৪৬ এএম

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আমাদের ত্যাগের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার না করলে আবারও আগের মতোই প্রশাসন আচরণ করবে, তাহলে এত ত্যাগের বিনিময়ে আমাদের অর্জন কী প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, আলোচনার মধ্য দিয়ে আমাদের ঐক্যমতে পৌঁছাতে হবে।’ 

‘জুলাই কারাবন্দিদের স্মৃতিচারণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন, নুরুল হক নুর। গতকাল রোববার বিকেল ৪টায় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ আইনজীবী অধিকার পরিষদ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় নুর বলেন, ‘ছাত্ররা যখনই আক্রান্ত হয়েছে, তখনই রাজনৈতিক দলগুলো সহযোগিতা করেছে। আমাদের ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের একটা অভিজ্ঞতা ছিল, সেই অভিজ্ঞতার আলোকে সবাইকে দিকনির্দেশনা দিয়েছি। শেখ হাসিনার এ পতনের জন্য আমরাই পথ তৈরি করেছি।’  

তিনি আরও বলেন, ‘২০২১ সালে আমরা যখন দল ঘোষণা করি তখনই বলেছিলাম এক ব্যক্তি দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না, একই সঙ্গে সরকারপ্রধান ও দলের প্রধান হতে পারবে না, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের মাধ্যমে অংশগ্রহণমূলক পার্লামেন্ট গঠন করতে হবে। আমরাই বলেছিলাম, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ হবে। জামায়াতসহ বেশ কিছু দল পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়। আমরাও বলছি, যদি নিম্নকক্ষে পিআর না হয়, তবে উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে হোক। আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে আমাদের একটা ঐক্যে পৌঁছাতে হবে। আমাদের হতাশ হওয়ার কোনো সুযোগ নাই, জুলাই জাগ্রত থাকবে, জুলাই আকাক্সক্ষা বাস্তবায়নের জন্য আমরা কাজ করে যাব।’

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন না হলে এই দেশে কোনো গণঅভ্যুত্থান হতো না। সে সময় যারা কোটা সংস্কার আন্দোলন করেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সেসব শিক্ষার্থী রাজপথে নেমেছে। এই গণঅভ্যুত্থান কারো একক নেতৃত্বে হয়নি। ১৮ কোটি মানুষের অবদানে হাসিনার পতন হয়েছে। কিন্তু পতনের পরে কোনো পরিবর্তন ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস সরকার করতে পারেনি। দৃশ্যমান সংস্কার হয়নি।

এখনো পুলিশ, সচিবালয়, সরকারের সব দপ্তরে ও সেক্টরে আওয়ামী লীগ। ফ্যাসিবাদী সিস্টেম রয়েই গেছে। 
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশের গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থান ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ই হতে পারত, কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন ছিল না।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আইনজীবী অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী। আইনজীবী অধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট খালিদ হাসানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন, গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান ও উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ প্রমুখ।