ঢাকা রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৫

এক মাস মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে না  ফেরার দেশে চলে গেলেন তাসনিয়া  

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২৫, ০৬:৫০ এএম

রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ তাসনিয়া (১৫) নামে আরও এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। এ নিয়ে স্কুলে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ৩৭ জন মারা গেছে। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে গতকাল পর্যন্ত ৩৬ জন মারা গেছে। 

গত এক মাস মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে না ফেরার দেশে চলে গেল তাসনিয়া। গতকাল শনিবার সকাল ৮টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সুলতান মাহমুদ সিকদার।

ডা. সুলতান মাহমুদ সিকদার বলেন, গত ২১ জুলাই তাসনিয়াকে শরীরে ৩৫ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। আইসিইউতে চিকিৎসা চলছিল তার। শনিবার সকাল ৮টার দিকে বার্ন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় আরও ২২ জন রোগী জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছে।

নিহত তাসনিয়ার বাবা মো. নাজমুল কান্নাজড়িক কণ্ঠে বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী এলাকায়। বর্তমানে পরিবার নিয়ে উত্তরার খালপাড় এলাকায় ভাড়া থাকি। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে তাসনিয়া ছিল বড়। প্রায় ৩২ দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে শনিবার সকালে আমার মেয়ে না ফেরার দেশে চলে গেল।

এর আগে গত ১৪ আগস্ট মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা মাহফুজা (৪৫) শিক্ষিকা মারা যান। তিনিও ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। 

জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, বার্ন ইনস্টিটিউটে এ নিয়ে মোট ২০ জনের মৃত্যু হলো। হাসপাতালটিতে এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে ২২ জন। এ ছাড়া বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন এখন পর্যন্ত ১৪ জন। এর বাইরে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) একজন চিকিৎসাধীন।

প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই দুপুরে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৭ জন নিহতের তথ্য পাওয়া গেছে। নিহতদের অধিকাংশই মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির তিন শিক্ষক ও একজন বিমান পাইলটের মৃত্যু হয়েছে।